ইবি: ছয় বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান। ২০১৭ সালে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে চাকরিচ্যুত করে তৎকালীন প্রশাসন।
শুক্রবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
গত সোমবার (২৯ মে) সিন্ডিকেটের ২৫৯তম সভার ৫৫নং প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে স্বপদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, চাকরিচ্যুত হওয়ার পর হাইকোর্টে আপিল করেন ওই শিক্ষক। সম্প্রতি হাইকোর্ট তাকে চাকরিতে বহালের নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আসলে সোমবার সিন্ডিকেট সভায় তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্তাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দিয়েছে এবং হাইকোর্টের নির্দেশেই তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
জানা যায়, ইবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী আসাদুজ্জামানের বিরূদ্ধে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর কাছে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ দেন।
ওই ছাত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে সে সময় জরুরি বৈঠক হয়। এতে আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা মিললে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
স্বপদে ফেরা সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বলেন, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। হাইকোর্ট আমাকে নির্দোষ প্রমাণিত করে চাকরিকে বহাল রেখেছেন। আমি সম্মানের সঙ্গে পদটি ফিরে পেয়েছি। তখন আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে সুবিচার পেয়েছি এবং আমি যোগদান করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
জেএইচ