জাবি: পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।
বুধবার (৭ জুন) বিকেল পৌনে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিকেল ৩টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সেখানে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
-
মীর মশাররফ হোসেন হলের সব অবৈধ ছাত্রদের হল ত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে;
-
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাদী হয়ে মামলা করতে হবে;
-
প্রক্টর এবং প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি দিতে হবে,
-
গণরুম এবং গেস্টরুম সংস্কৃতি শেষ করতে হবে, এবং
-
প্রথমবর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হলে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে ৭ দিনের সময় চান। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭ দিনের পরিবর্তে এক ঘণ্টা সময় দেন। দাবি না মানলে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান বলে দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সামিউল ইসলাম প্রত্যয় ও নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু আজ (৭ জুন) তারা কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা উপাচার্যকে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেই এবং প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করি। কিন্তু উপাচার্য পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে। প্রশাসন হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে চায়। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
এনএস