ইবি (কুষ্টিয়া): নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের চাকরি প্রার্থী শাহবুব আলম দুদকে অভিযোগ দেন।
বৃহস্পতিবার দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নীলকমল পাল স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠি সূত্রে জানা যায়, ইবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে সাক্ষীর বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা হবে। কমিশন আইনের ১৯ ও ২০ ধারা এবং বিধিমালার ২০ বিধিসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা মতে সাক্ষীর বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ প্রসঙ্গে সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়টি তদন্তে নীলকমল পালকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। এছাড়া আগামী ২ জুলাই সকাল ১০টায় দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাক্ষীকে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নীলকমল পাল বলেন, ‘ইবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তভার আমার ওপরে এসেছে। তদন্ত স্বার্থে এর বেশি বলতে পারছি না। ’
জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। সেই বোর্ডের সাক্ষাৎকার শেষে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগের সভাপতি ও বোর্ডের সদস্য ড. বখতিয়ারের মত বিরোধ হয়। এ সময় তিনি চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে উপাচার্যের অডিও ফাঁসের জেরসহ নানা অভিযোগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন চাকরি প্রার্থী শাহবুব আলম। এতে উপাচার্যকে অভিযুক্ত করে বিভাগটির শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। চার পৃষ্ঠার সেই অভিযোগ পত্রে তথ্য-উপাত্ত হিসেবে ১৮টি সংযুক্তি যুক্ত করেন অভিযোগকারী। একইসঙ্গে গত ৩০ অক্টোবর ২৫৬ তম সিন্ডিকেটে ওই বিভাগের সদ্য নিয়োগ পাওয়া দুই শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে ফের বোর্ড আয়োজনের দাবি জানান চাকরি প্রার্থী শাহবুব।
এ বিষয়ে শাহবুব আলম বলেন, ‘ভিসি স্যার অবৈধ, দুর্নীতি ও অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে ওই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। ফাঁস হওয়া অডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এটি আরো স্পষ্ট হয়েছে। সর্বাধিক যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও আমাকে শিক্ষক নিয়োগ দানে বঞ্চিত করা হয়েছে। যার ফলে আমি তথ্য-উপাত্তসহ দুদকে অভিযোগ দায়ের করি। এর পরই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি এই দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের এবং সিন্ডিকেটে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এসআইএস