ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থী মবিন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থী মবিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই বছর ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে সম্মানজনক ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী এস এম মবিন সিকদার।

শনিবার (১ জুলাই) মবিন সিকদার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস এম মবিন সিকদার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বাংলাদেশে অনলাইন বিজ্ঞান শিক্ষা জনপ্রিয়করণে একজন পথপ্রদর্শক। ২০১৮ সালে তিনি ‘সায়েন্স বী’ প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি বর্তমানে বাংলাভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানভিত্তিক অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর জন্য কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করা ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও বেশি সহজলভ্য করার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।  

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ওয়েবসাইট সৃষ্টি করেছেন যেখানে প্রায় ২ লক্ষাধিক রেজিস্টার্ড সদস্য এবং দৈনিক ৪০ হাজারের বেশি সক্রিয় শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। পাশাপাশি সায়েন্স বী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখায় অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

অনুভূতি ব্যক্ত করে এস এম মবিন সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এমন একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার আমার এবং পুরো সায়েন্স বী কমিউনিটির জন্য একটি বার্তা বহন করে 'কেন আমাদের উদ্যোগ যুগোপযোগী এবং কেন আমাদের থেমে যাওয়া উচিত নয়!'

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে যখন বিজ্ঞান নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম তখন এমন পুরস্কার সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। কাজ করে চলেছি আমরা, সামনে আরও কাজ করবো, আরও বৃহৎ পরিসরে। পুরস্কার আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে, ১০ লক্ষাধিক সক্রিয় শিক্ষার্থীকে। আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি আমার টিমমেট অন্বয় দেবনাথ, সাদিয়া বিনতে চৌধুরীসহ সকল টিমমেটকে। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার শ্রদ্ধাভাজন দুইজন শিক্ষককে যাদের নোমিনেশনের কারণে এই ফাইনাল স্টেজে আসা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রিন্সেস ডায়ানা’র নামে তার দুই ছেলে প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম ব্রিটিশ রাজপরিবারের পক্ষে এই পুরস্কারটি প্রবর্তন করেন। পুরস্কারটিকে ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী সামাজিক উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে মর্যাদাকর পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।