শরীয়তপুর: শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীনের নামে অডিট কর্মকর্তারদের নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে ১ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনা জানাজানির পর সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে সেই টাকা ফেরত দেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষকেরা টাকা ফেরতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
তবে তবে অভিযোগের সত্যতা জানতে শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে গেলে দ্রুত সটকে পড়েন তিনি।
জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলা ও জাজিরা উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি অডিট টিম আসে। সেই অডিট টিমের কথা বলে ডামুড্যা উপজেলা প্রত্যেকটি বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার করে টাকা উত্তোলন করার জন্য প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন। এতে প্রায় ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, অডিটের কথা বলে এক হাজার করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি, আবার সেই টাকা ফেরত দিয়েছে। কেন ফেরত দিয়েছে সেটা আমি জানি না।
ডামুড্যা উপজেলার শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন অডিট টিমের জন্য টাকা উত্তোলন করেছিলেন, তারা টাকা নেবে না, সেজন্য ফেরত দিয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলে এতোটুকু জানতে পেরেছি, এর বেশি কিছু জানি না।
অভিযোগের ব্যাপারে সাংবাদিকরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীনের অফিসে বক্তব্য আনতে গেলে তিনি দ্রুত সটকে পড়েন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কেউ লিখিত অফিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, অডিট টিমের নামসহ কোনো বিষয় অনৈতিকভাবে টাকা উত্তোলনের করার কোনো সুযোগ নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
এসএএইচ