ঢাকা: দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে ব্যয়ের জন্য ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বা তিন হাজার ৩৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কোভিড-১৯ মহামারি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, সশরীরে ও অনলাইন পাঠদানের মিশ্র পদ্ধতির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে, শিখনফলের মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনতে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার (২৩সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড বাংলাদেশের জন্য ঋণ অনুমোদন দেয়।
বিশ্বব্যাংক জানায়, লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (এলএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে এ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী গণিতে বর্তমানে যাদের ২৮ শতাংশ দক্ষতা রয়েছে, তাদের ৬৫ শতাংশে এবং বাংলায় ৬৬ শতাংশ থেকে ৯০শতাংশে উন্নীত করা।
ঝরে পড়ার হার কমাতে, প্রোগ্রামটি ৮০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেবে এবং পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় থাকা যৌন হয়রানি ও প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে সেগুলো নিশ্চিত করবে।
এছাড়াও প্রায় সাত হাজার ২০০ স্কুলে পড়ানোর দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রোগ্রাম থাকবে এবং ১৫ হাজার শিক্ষক তাদের শেখানোর দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রোগ্রামটি মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিংকেও সহায়তা করবে। যা বিদ্যালয়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ উন্নীতকরণে সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান কার্যালয়ের প্রধান আবদোলায়ে সেক বলেন, নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা আনয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু কোভিডকালে দীর্ঘ মেয়াদে স্কুল বন্ধ থাকায় অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েশিশুদের বিরাট অংশ স্কুল ছেড়েই দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সববময় পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।
এ ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর। গ্রেস পিরিয়ড পাঁচ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
জেডএ/এসআইএস