ঢাকা: গেল ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বিধিমালা হওয়ায় দীর্ঘদিনের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে বাধা কাটল বলে মনে করেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নিয়োগ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ায় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও সচিব ফরিদ আহাম্মদকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এদিন প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মহিউদ্দীন আহম্মেদ তালুকদার।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে উপযুক্ত কোনো নিয়োগবিধি না থাকার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। নিয়োগবিধি অনুমোদন পাওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো।
তিনি আরও বলেন, নিয়োগবিধি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, এতে করে অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোতে তীব্র জনবল সংকট বিরাজ করছিল। এতে দৈনন্দিন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। নিয়োগবিধি পাস হওয়ার ফলে জনবল নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না।
প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যরা সরকার ঘোষিত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সততা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন, মোছা. নুরজাহান খাতুন, মো. রাশেদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইমামুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মির্জা হাসান খসরু, সহকারী পরিচালক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ, শিক্ষা অফিসার রোখসানা হায়দার, গাজীপুর পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোসফেকা বিনতে সুলতান, একরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহসুমা খানমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ