ঢাকা: আবাসন সংকট, বৈধ কক্ষে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বরাদ্দ ও আবাসিক শিক্ষকদের 'অসৌজন্যমূলক আচরণে'র প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তারা হলের সামনে অবস্থান করেন।
গত বছরের ১৪ আগস্ট আবাসন সংকট নিরসন, ৩শ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে স্থানান্তরসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলন করেছিলেন হলের শিক্ষার্থীরা। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান আন্দোলনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হলেও, এখনও তা পূরণ করা হয়নি।
হলের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, আমাদের বৈধ কক্ষগুলোতে ৬জন শিক্ষার্থীর স্থলে এখন ৭জন করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে থাকাটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই অসুবিধাজনক। গণরুমে যেসব নারী শিক্ষার্থীরা আছে, তাদের ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাউজ টিউটর কয়েকজন ম্যাম আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আবাসন সংকট নিরসন, ৭জন শিক্ষার্থীকে এক রুমে না দেওয়া এবং হাউজ টিউটরদের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে আমরা অবস্থান করছি। প্রশাসন এখনো কোনো সমাধান দিতে পারছে না।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রক্টর স্যারসহ আন্দোলনস্থলে উপস্থিত আছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। ওদের কি সমস্যা, কেন ওরা আন্দোলন করছে; সে বিষয়টি জনে প্রশাসনিকভাবে তার সুষ্ঠু সমাধান কীভাবে করা যায়, তা দেখছি।
উল্লেখ্য, কুয়েত মৈত্রী হলের সিকদার মনোয়ার ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল প্রকৌশল শাখা। তবুও এখানে ২শর অধিক শিক্ষার্থী থাকছেন। এছাড়া, পর্যাপ্ত আসন না থাকায় মূল ভবনের অতিথি কক্ষে এখনো ১০০ শিক্ষার্থী থাকছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
আরএ