ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দেশসেরা সিলেট বোর্ড: এইচএসসিতে পাসের হার ৮৫.৩৭

এনামুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২

সিলেট: এসএসসির পর এবার এইচএসসিতেও দেশসেরা সাফল্য দেখিয়েছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড।

পাসের হারের সঙ্গে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যাও।



এ বছর সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী যেখানে ২০১১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সিলেট থেকে ৮৮৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

সিলেট শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় মোট ৩৭ হাজার ৩শ ৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৩১ হাজার ৯শ ৩ জন।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. মনির উদ্দিন ২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করেন।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১শ ৬৯টি কলেজের মধ্যে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে সবচেয়ে বেশি ২শ ৪৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এছাড়া ২শ ৪২টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সিলেট এমসি কলেজ।

এছাড়া সিলেট কমার্স কলেজ ১শ ৩৩টি, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ১শ ২৪টি এবং মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ১শ ১৯টি জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ১শ ৬৯টি কলেজের মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

তবে কেউ পাস করতে পারেনি এমন কলেজ নেই।

সিলেট শিক্ষাবোর্ড ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবারও পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছেন।

সব বিভাগ থেকে এ বছর মোট ১৭ হাজার ৪শ ৮৭ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১৫ হাজার ১৮ জন।

ছেলেদের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পরীক্ষায় ১৯ হাজার ৮শ ৮৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১৬ হাজার ৮শ ৮৫ জন। মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বছর ৫ হাজার ৭শ ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ৮শ ৬৫ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।

মানবিক বিভাগ থেকে ২৪ হাজার ১শ ৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ২০ হাজার ১শ ৫৮ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭ হাজার ৫শ ৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৬ হাজার ৮শ ৮০ জন। এ বিভাগে পাসের হার ৯১ দশদিক ৭০ শতাংশ।

এবার ২ হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ হাজার ২শ ২৩ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৪শ ১৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪শ ২৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ১ হাজার ৩৭ জন ছেলে এবং ১ হাজার ২৮ জন মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছেন।

মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ গ্রেডে ৬ হাজার ৩শ ১৪ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৬ হাজার ৩শ ৩৩ জন,  বি গ্রেডে ৬ হাজার ৯শ ২৮ জন,  সি গ্রেডে ৮ হাজার ৯শ ২৯ জন ও ডি গ্রেডে ১ হাজার ৩শ ৩৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

এছাড়া ৫ হাজার ৪শ ৬৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।

ফলাফল সম্পর্কে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. মনির উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, সিলেট বোর্ডের ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসএসসির পর এইচএসিতেও দেশসেরা ফলাফল করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: শামীম হোসেন, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিসটেন্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।