ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

আমি চলে গেলে যেন শাবিপ্রবি পিছিয়ে না যায়: উপাচার্য

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
আমি চলে গেলে যেন শাবিপ্রবি পিছিয়ে না যায়: উপাচার্য

শাবিপ্রবি, (সিলেট): ‘বর্তমানে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষা, সুশাসন, গবেষণা, অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। এক সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকাসক্ত, মারামারি-হানাহানি, সেশনজট, র্যাগিংসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের অরাজকতা ও অনিয়ম ছিল।

তবে আমি আসার পর দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আমরা সে জায়গাগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। এখন কোনো অনিয়ম কিংবা কোনো ধরনের অরাজকতা নেই। আমার দায়িত্বও শেষ হয়ে আসছে, আমি চলে গেলে যাতে এ বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে না পড়ে। আগের জায়গায় ফিরে না যায়। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ’

বুধবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকাবিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কোনো ধরনের সেশনজট নেই, র্যাগিং নেই, মাদক নেই। শিক্ষা ও গবেষণা ভালোভাবে চলছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও আমরা কোনো ধরনের ছাড় দিচ্ছি না, যারা বেস্ট অবদি বেস্ট তাদের নিয়োগ দিচ্ছি। পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও সবকিছুই ডি-নথি, ডিজিটাল হাজিরার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আসার পর থেকে আমার জানা মতে কারো সাথে কোনো ধরনের অন্যায় কিংবা অবিচার করা হয়নি। তবুও কেউ যদি মনে করে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, আমি সাথে সাথে তার ব্যবস্থা নেবো। তবে কেউ অন্যায়ভাবে আবদার করলে তা কখনোই পূরণ করা হবে না।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে, শিক্ষার মান ও বাজেট বাড়াতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখন শতভাগ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে এগুচ্ছে। গতবছরও এপিএ র্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এবছর ভালো একটা অবস্থানে থাকতে।

পরিশেষে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞাতা জানান উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং এপিএ ফোকাল পয়েন্ট আ ফ ম মিফতাউল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।  

অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউসিসির অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএর ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক।  এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, এপিএর ফোকাল পয়েন্টরা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।