খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, প্রো-ভাইস চান্সেলর (প্রো-ভিসি) পদে নিযুক্ত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ খান এবং ট্রেজারার পদে নিযুক্ত হয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯০ এর (১১)১ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমকে চার বছর মেয়াদে খুবির ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত করা হয়।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়, ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে চার বছর হবে। এই পদে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। এছাড়াও বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম হলেন খুবির ১৩তম ভাইস-চ্যান্সেলর এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত তৃতীয় ভাইস-চ্যান্সেলর।
এছাড়া পৃথক প্রজ্ঞাপনে খুবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রো-ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ খান।
তিনি চার বছর মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন। এ পদে বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন তিনি। সেই সঙ্গে অবশ্যই তিনি সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী। তিনিও চার বছর মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন এবং এ পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি ও বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। শর্ত অনুযায়ী, তাকেও সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত: অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বর্তমানে খুবির নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনে একজন সিনিয়র অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং তিনি খুবির সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে খুবিতে বহু দায়িত্ব পালন করেছেন। খুবিতে তার উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে অন্যতম হলো নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন হিসেবে দুই মেয়াদে নেতৃত্ব দেওয়া। খুবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের পরিচালকের দায়িত্ব পালনসহ সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হিসেবে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। অতি সম্প্রতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুবির সব ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধানদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক হিসেবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক করিমের একাডেমিক যোগ্যতা উল্লেখযোগ্য এবং বিস্তৃত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে পিএইচডি অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং-এ মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এবং কানাডার স্যার স্যান্ডফোর্ড ফ্লেমিং কলেজ থেকে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) বিষয়ে অ্যাডভান্সড মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার একাডেমিক পরিসরের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি লিডারশিপের ওপর ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বির্কবেক কলেজ থেকে ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স, যা তাকে সমাজ ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য আরও যোগ্য করেছে।
তার পেশাগত অভিজ্ঞতা অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। খুবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করেছেন। এছাড়াও, অষ্টম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। অধ্যাপক করিম বিশ্ব ব্যাংকের কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ইন্সটিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট গ্রান্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন, যা তাকে শিক্ষাখাতে আন্তর্জাতিক প্রকল্পে নেতৃত্বের দক্ষতা দিয়েছে।
গবেষণা ক্ষেত্রে, অধ্যাপক করিম দেশের অন্যতম প্রথম বাংলা জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) বিষয়ক বইয়ের লেখক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জিআইএস এর ওপর প্রথম একাডেমিক কোর্স ও ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা প্রণয়নে জিআইএস -এর ব্যবহার এবং উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করেন। তার গবেষণা এবং প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল, কনফারেন্স এবং সেমিনারে প্রকাশিত হয়েছে, যা ৩০টিরও বেশি। খুবির বিভিন্ন জার্নালের সম্পাদকীয় পদেও তিনি কাজ করেছেন।
এছাড়া ২০০৪ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সকল অংশীজনের সমন্বয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু শীর্ষক সেমিনার আয়োজন পূর্বক বই প্রকাশ করেন, যেখানে সর্বপ্রথম পদ্মা সেতুর বিভিন্ন স্থানিক বিশ্লেষণ করে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্যতা তুলে ধরা হয়। এই বই এর ইংরেজি সংস্করণ তৎকালীন জাইকার প্রতিনিধিদের কাছে প্রদান করা হয় এবং পরবর্তীতে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সামাজিক আন্দোলনে এই বই একটি জ্ঞানভিত্তিক ইনপুট হিসাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
অধ্যাপক করিম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশনাল কোয়ালিটি এক্সপার্ট হিসেবে পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক রয়েল টাউন প্ল্যানিং ইনস্টিটিউট, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্সসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও, তিনি ডিএফআইডি, ইউনিসেফ, এবং এডিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ খানের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত: অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ খান দীর্ঘ ৩২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে ১৩০টির বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে প্রকাশিত এসব গবেষণাপত্রে ১১ হাজারের বেশি সাইটেশন আছে। ২০০৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মাকোতো কোবায়াশি ও প্রফেসর তোশিহিদে মাসকাওয়ার সঙ্গে তিনি এক যুগেরও বেশি সময় যৌথ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। জাপান সরকারের মনবুশো বৃত্তি নিয়ে ড. মো. হারুনুর রশিদ খান সাগা বিশ্ববিদ্যালয় ও হাই এনার্জি এক্সেলেটর রিসার্চ অর্গানাইজেশন (কেইকে) থেকে হাই এনার্জি ফিজিক্স-এ ১৯৯৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দুটি পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করেছেন। প্রথমটি তিনি জেএসপিএস পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও কেইকে থেকে সম্পন্ন করেন। পরেরটি জেএসপিএস ইনভাইটেশন ফেলোশিপে সাগা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ খান জাবি থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। পরে খুবিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। খুবির পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন তারই হাতে গড়া। বর্তমানে তিনি পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধানের দায়িত্বে আছেন। তিনি খুবির সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, গবেষণা সেলের ডিরেক্টর, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন, ইসিই ডিসিপ্লিনের প্রধান, খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি সৌদি আরবের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। সৌদি আরবের স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছরেরও অধিককাল কর্মরত ছিলেন। ড. হারুনুর রশীদ খান একাধিক গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত আছেন। তার নেতৃত্বে সৌদি আরবের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন ও খুবির পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের মধ্যে যৌথ গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি বেল কোলাবোরেট হিসেবে হাই অ্যানার্জি এক্সেলেটর রিসার্চ অর্গানাইজেশনে (কেইকে) ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন। ইতালির আবদুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স (আইসটিপি)-এ অ্যাসোসিয়েট হিসেবে তিনি ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবীর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত: প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী খুবির দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ১৯৯৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৬ সালে জার্মান সরকারের ডিএএডি স্কলারশিপের আওতায় জার্মানির লাইপজিগ ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। জার্মানির একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে পিএইডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১-১২ সালে জার্মানির একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক সম্পন্ন করেন। ২০১৬-১৮ সালে জার্মানির লাইপজিগ ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খুবিতে ২০১৪-১৬ সালে ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১-২৩ মেয়াদে ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী এন্টারপ্রিনিউরশিপ, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের বিষয়ে ৪০টির অধিক আন্তর্জাতিকমানের প্রকাশনা রয়েছে। অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী তার গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ফর রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
এমআরএম