ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে  নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
 
সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি আবার রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
 
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্যার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অতিদ্রুত যদি ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে না পারেন, তাহলে আপনি শহীদ এবং আহতদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।
 
তিনি বলেন, আমি আসিফ স্যার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, যদি ছাত্রদের আড়াই মাস পরে রাজু ভাস্কর্যে এসে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাঁড়াতে হয়, তাহলে আপনাদের কাজটা কী? আসিফ স্যার আপনার ওপর শিক্ষার্থীরা ভরসা রেখেছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি পদে পদে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, ছাত্রলীগের সবাইকে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।
 
হাসনাত বলেন, পুলিশ প্রশাসনে যারা অসহযোগিতা করছেন, আপনারা ফ্যাসিস্টের সঙ্গে আঁতাতের কথা ভাবছেন। আপনারা ভুল করছেন। আপনাদের বিকল্প খুঁজতে আমরা দ্বিধা করব না। আমরা প্রয়োজনে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স গঠন করব। এখনও সময় আছে, সরকারকে সহায়তা দিতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, সাহাবুদ্দিন সাহেবকে বলতে চাই, এখনও সময় আছে বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে আপনার রাস্তা বেছে নিন। এরই মধ্যে খুনি হাসিনার সংবিধান যদিও আমরা মানি না, সেই সংবিধানের শপথ ভঙ্গ করেছেন। শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার কথা ভাবলে ভুল ভাবছেন। শেখ হাসিনার পুনর্বাসন এ বাংলার মাটিতে আর কোনোদিনও হবে না। খুনি হাসিনাকে বাংলায় আসতে হবে, তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, ফাঁসিতে তাকে ঝুলতে হবে।
 
সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর দিলেও এখনো তাদের মূলোৎপাটন করতে পারিনি। এ বাংলার মাটিতে এখনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু যিনি স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন, আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাই। অন্যথায় এ ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আরও কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।  

এসময় তিনি গত ১৬ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদচ্যুত করার জোর দাবি জানান।
 
বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসিব আল ইসলাম, সানজিদা আফিফা অদিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, আব্দুল হান্নান মাসুদ বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।