ঢাবি: সুইজারল্যান্ডে আইন উপদেষ্টা ড আসিফ নজরুলকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দ্বারা হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
মানবন্ধনে আন্তর্জাতিক আদালতের সাবেক বিচারক ও ঢাবি আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শাহজাহান সাজু প্রশ্ন করেন, কেন তাকে (আসিফ নজরুল) একা যেতে দেওয়া হলো? কেন তাকে প্রটোকল দেওয়া হলো না? এটা পূর্ব পরিকল্পিত কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হোক।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে আইন অনুষদের সামনে আয়োজিত মানবন্ধনে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
শাহজাহান সাজু বলেন, ড. আসিফ নজরুলকে সুইজারল্যান্ডে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কাজ। যদি সুইজারল্যান্ডের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশে এমন হতো আপনাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হতো?
ঘটনার জন্য সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসকে দায়ী করে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
ঢাবির আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক বলেন, আসিফ নজরুলের সঙ্গে যা হয়েছে পৃথিবীর সব দেশের আইন ও আন্তর্জাতিক আইনের এবং শিষ্টাচারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি৷
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, কতিপয় ‘জয় বাংলা’ স্লোগানধারী যেভাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পথরুদ্ধ করেছে শুধু বাংলাদেশের নয় আন্তর্জাতিক আইনেও সেটি ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়বে।
সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্টেট টু স্টেট যোগাযোগ করে আসিফ নজরুলকে অপদস্থ করার ভিডিওটি সুইজারল্যান্ডের সরকারের কাছে পাঠানো হোক। তারপর বলুন, আপনার দেশের বসবাসকারী বাংলাদেশের একজন ডিপ্লোমেটিক অ্যাসাইনমেন্টকে এভাবে হেনস্তা করেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আলী নাসের বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করার পরেও পতিত আওয়ামী লীগের কোনো প্রকার অনুশোচনা নেই। এটিই আওয়ামী লীগের চরিত্র। গত ১৫ বছরে একটি প্রশ্ন দেখে এসেছি- তুমি মানুষ না আওয়ামী লীগ? এই প্রশ্নটি আগামী একশো বছর প্রাসঙ্গিক থাকবে। আমরা কুকুরের জন্য মুগুর প্রস্তুত করতে পারি নাই, এজন্যই আসিফ নজরুলের সাথে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। তারা ক্ষমা পাওয়া সুযোগ পেয়েও ক্ষমা চায়নি। তাই যেখানেই আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা পাওয়া যাবে, সেখানে তাদেরকে ধবলধোলাই দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এসএএইচ