ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে শিক্ষক- কর্মচারীদের মিছিল-সমাবেশ

ইবি সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১২
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে শিক্ষক- কর্মচারীদের মিছিল-সমাবেশ

ইবি (কুষ্টিয়া): কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রোববার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আলাউদ্দিন এবং উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন এ মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্ব দেন।



বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে শেষে একইস্থানে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় সমাবেশে বক্তারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিকে দায়ী করেন।

প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম প্রগতিশীল শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ.ন.ম রেজাউল করিম।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ড. আ.ন.ম. রেজাউল করিম, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি জনাব মাহবুবুল আরফিন,  সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এ.এইচ.এম আক্তারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন, সহসভাপতি শামিম খান, হিটলার, যুগ্মসম্পাদক লেলিন, কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, উকিল উদ্দিন প্রমুখ।

এসময় বক্তারা সরকারের কাছে শক্তহাতে জামায়াত-শিবির দমন ও দ্রুত যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি করেন।
বক্তব্যে শাপলা ফোরামের সভাপতি মাহবুবুল আরফিন বলেন, “সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যে যোগ দিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল রাখার ষড়যন্ত্রে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত ও শিবির। ”

তিনি বলেন, “ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকলে তারা আন্দোলনে যোগ দিতে পারবে না। আর এ জন্যই তারা জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক সমিতিকে দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে। তাদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের একটি অংশ। আমরা তাদের বলবো- প্রশাসন কোনো দুর্নীতি করলে সরকারের ওপর মহলে জানান। তার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করবেন না। ”

এদিকে, রোববারের এ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না শিক্ষকদের আরেকটি প্রগতিশীল সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’।

এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস সালেহ বাংলানিউজকে বলেন, “আন্দোলনের ব্যাপারে আমি এবং আমাদের ফোরামের সভাপতি অবহিত নই। তাছাড়া আমরা আগেই জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ফোরামের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছি। ”

এসময় তাকে প্রগতিশীল শিক্ষক উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, শিক্ষক সমিতি কোনো রাজনৈতিক দলের না। তারা সব শিক্ষকের সংগঠন।

এছাড়া আমরা প্রশাসনের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। আমরা তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। ”

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষক সমিতি।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকরাও শিক্ষক সমিতির এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১২
প্রতিবেদন: শরিফুল ইসলাম জুয়েল, সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।