ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

৮ম সমাবর্তন

রাবির ৭হাজার গ্রাজুয়েট পেলেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সনদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও রাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১২
রাবির ৭হাজার গ্রাজুয়েট পেলেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সনদ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) ৮ম সমাবর্তনে ৭ হাজার ২১ জন গ্রাজুয়েটকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সনদ হাতে তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতির মনোনীত প্রতিনিধি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়।



১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর হাঁটি হাটিঁ পা পা করে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ  এ বিদ্যাপীঠ ৫৯ বছর পার করেছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এবার দ্বিতীয় বারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও রাবি উপাচার্য প্রফেসর আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমার্বতন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
 
শিক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুযায়ী ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত সাতহাজার ২১জন গ্রাজুয়েটকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সনদ প্রদান করেন।

এদের মধ্যে ১৯৯১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চারজন এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী, কলা অনুষদের ১৬৬১, বিজনেস স্টাডিস অনুষদের ১৪৮৬, কৃষি অনুষদের দুইজন, আইন অনুষদের ৩৪৬, বিজ্ঞান অনুষদের ৮১৬, চিকিৎসা অনুষদের ১৬, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১৬৫০, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ৭১৪ এবং প্রকৌশল অনুষদের ২৬৯জন গ্রাজুয়েটকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ ডিগ্রি প্রদান করেন।

এসময় এম ফিল গবেষকদের পক্ষে একজন এবং প্রতি অনুষদের পক্ষ থেকে একজন করে গ্রাজুয়েট শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে তাদের সনদ নেন। বর্তমানে সমাবর্তন অনুষ্ঠান চলছে।


সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করতে গ্রহণ করা হয়েছে নানা আয়োজন। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ ভবন, স্থাপনা, সড়ক, মাঠঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও রং এবং আলোকসজ্জা দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘সাবাশ বাংলাদেশ’, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, কাজী  নজরুল ইসলাম মিলনায়তন,  প্রশাসনিক ভবন, সিনেট ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, অতিথিদের জন্য অ্যাপায়নের স্থানসহ বিভিন স্থাপনার রং, সংস্কার ও অলংকরণ।

সমাবর্তনে আগত গ্রাজুয়েটদের স্বাগত  জানাতে ক্যাম্পাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ তোরণ। রাস্তায় করা হয়েছে রং-বেরংয়ের আল্পনা। ফলে সবুজ ছায়ায় ঘেরা মতিহারের সবুজ চত্বরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানস্থল বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে ৮ হাজার জনের বসার ব্যবস্থা করতে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। স্টেডিয়ামের উত্তর দিকে স্থাপন করা  হয়েছে বিশাল মঞ্চ।

সমাবর্তনকে স্মৃতিপটে স্মরণীয় করে রাখতে পুরো স্টেডিয়ামকে ঘিরে শোভা বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে স্টেডিয়ামে দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১২
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।