ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বহিষ্কার প্রতিবাদে ইস্টওয়েস্টে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৪
বহিষ্কার প্রতিবাদে ইস্টওয়েস্টে মানববন্ধন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের দাবি জানানোয় তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


 
বুধবার দুপুরে আফতাবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
 
এসময় তিন ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের বর্তমান সেমিস্টারে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের জন্য গত মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তুলেন  শিক্ষার্থীরা।
প্রথমদিকে দাবি না মানায় আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর জুলাই মাসে সমস্যা সমাধান করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় গত ২৪ জুলাই তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
বহিষ্কৃত তিন ছাত্র হলেন, তড়িৎ কৌশল বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের কাজী মো. মাহবুবুল হক তমাল এবং একই বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, গত মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) অকার্যকর হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফটও নষ্ট হয়ে যায়। মে মাসের গরমে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়ি। স্টাডি রুমেরও নানা সমস্য রয়েছে।

এসব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা তা আমলে নেননি। উল্টো শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি দেয় প্রশাসন।
 
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি বিভাগে আলাদা আলাদা স্টাডি রুম থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এখানে অট্টালিকা বানানো হলেও স্টাডি রুম নেই।
বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছিল না। এক সময় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হই আমরা।
 
শিক্ষাথীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ সেমিস্টারের এবং সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়ায় বহিষ্কার হওয়া তিন ছাত্র বেশিরভাগ সময় প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে এসি এবং লিফট ঠিক করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
তবে ওই তিন শিক্ষার্থীকে গত ২৪ জুলাই ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার দিন বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
 
এদিকে বহিষ্কার করলেও বহিস্কারের বিষয়ে ছাত্রদের কোন চিঠি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বহিষ্কার হওয়া এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, আইডি কার্ড অকার্যকর ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হলেও আমাদের তা জানানো হয়নি। এজন্য আমরা এনিয়ে কারো কাছে যেতেও পারছি না।
 
বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
 
ভিজিটর কার্ড ইস্যুর দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যকারও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।