ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

তারুণ্যের স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৪
তারুণ্যের স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী ১৩ আগস্ট প্রকাশ হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার ফল। এরপরই উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়ে যাবে ভর্তি যুদ্ধ।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, ব্যাবসায় শিক্ষা এবং মানবিকের তুলনায় বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্যে এ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হয় অনেক বেশি।
 
বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশের চাহিদা সবসময়ই ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে দেশের সরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঠাঁই হয় না সবার। এছাড়াও ঢাকার বাইরে পড়তে যেতে চান না অনেকেই। আর তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এখন শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের প্রতিষ্ঠান স্টেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
 
শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, এরই মধ্যে ব্যবসায় অনুষদ এবং আইনের মতো বিভাগগুলোও বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
 
স্টেট ইউনিভার্সিটিকে বলা হচ্ছে তারুণ্যের বিশ্ববিদ্যালয়। ধানমন্ডিতে দু’টি ক্যাম্পাসে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ৭৭ সাতমসজিদ রোডে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস এবং মিরপুর রোডের ১৩৮ কলাবাগান ঠিকানায় বিজয় ক্যাম্পাস মুখরিত শিক্ষার্থীদের কোলাহলে।
 
শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, বরং মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের বিষয়টিতে জোর দেয় স্টেট ইউনিভার্সিটি। আর তাইতো কোনক্রমেই ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না।
 
১০টি বিভাগ নিয়ে চলছে স্টেট ইউনিভার্সিটি। মূল ক্যাম্পাসে রয়েছে ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, আইন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স। আর বিজয় ক্যাম্পাসে রয়েছে বিজনেস স্টাডিজ, আর্কিটেকচার, ইংরেজি এবং জার্নালিজম, কমিউনিকেশন এবং মিডিয়া স্টাডিজ।
 
ঢাকার বারিধারায় আর্ন্তজাতিক মানের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ চলছে স্টেট ইউনিভার্সিটির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান মুজতবা আহমেদ মুরশেদ ঘুরে দেখালেন ক্যাম্পাস। এখানকার ক্লাশরুমগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং অডিও-ভিজুয়্যাল ফ্যাসিলিটিও রয়েছে।
 
দু’টি ক্যাম্পাসে রয়েছে দু’টি সেমিনার রুম। যেগুলোতে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া সেট-আপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন। অনলাইন জার্নালগুলোতে প্রবেশের সুবিধাসহ রয়েছে অত্যাধুনিক দু’টি লাইব্রেরি। রয়েছে হাইস্পিড ব্রাউজিং ল্যাব এবং দুটো ক্যাম্পাসেই ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি।
 
বিশ্ববিদ্যালয় মানেই আড্ডা দেয়ার ক্যাফেটেরিয়া। আর তাইতো মুজতবা আহমেদ মুরশেদ আমাদের নিয়ে গেলেন বিজয় ক্যাম্পাসের ক্যাফেতে। শিক্ষার্থীদের আড্ডায় জমজমাট ক্যাফে রয়েছে সেখানে ইনডোর গেমসের ব্যাবস্থাও।
 
কারিকুলামের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে ক্লাব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্টেট ইউনিভার্সিটি। এখানে রয়েছে ডিবেটিং সোসাইটি, ডান্স অ্যান্ড মিউজিক ক্লাব, কম্পিউটিং ক্লাব, সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, বিজনেস ক্লাব, প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড রিসাইটিং ক্লাব, নলেজ অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ক্লাব এবং এডভেঞ্চার ক্লাব।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদণ্ড নিরুপনে অন্যতম শর্ত হচ্ছে জার্নাল প্রকাশ। আর সে কাজটি নিয়মিত করে যাচ্ছে স্টেট ইউনিভার্সিটি।

স্টেট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ হাতে নিয়েছে এক দারুন উদ্যোগ। তারা বিচারপ্রত্যাশী অসহায় মানুষকে আইনি সেবা দেবে বিনামূল্যে।
 
এছাড়াও প্রতি মাসেই গণমাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত গুনীদের নিয়ে সেমিনার আয়োজন করে জার্নালিজম বিভাগ।
 
বিজয় ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে কথা হয় আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক মেহেদি হাসানের সঙ্গে।

তিনি বলেন, আমরা শুধু এখানে শিক্ষার্থীদের ক্রিয়েটিভিটিকে জাগ্রত করি না, বরং বাস্তবে সেগুলোর প্রয়োগও শিক্ষন দেই। এখান হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়। এ কারণেই এখানকার শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রেও সফল হচ্ছেন।
 
আগামী ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হবে স্টেট ইউনিভার্সিটির। এ নিয়ে পুরো ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশাসন বিভাগের কম্পিউটার অপারেটরের রুমে গিয়ে অবাক হলাম। সেখানেই বসে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার গণি চৌধুরী। নির্দেশনা দিচ্ছেন অপারেটরকে। এর আগেই শুনেছিলাম সপ্তাহের সাতদিনই কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময় নিয়েই কাজ করেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
 
আমাদের সঙ্গে কথা হলো উপাচার্যের নিজ দপ্তরেই। বললেন, এখানে আমরা প্রথমেই গুরুত্ব দিয়েছিলাম ফ্যাকাল্টির ওপর। এখানে রয়েছেন বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য অধ্যাপক রয়েছেন ফুলটাইম। এখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদেরও মান উন্নতির জন্যে প্রশিক্ষন দেয়া হয়।
 
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আমরা খেলার মাঠ না দিতে পারলেও, সেই পরিবেশ দিচ্ছি। এটা একটি পরিবারের মতো। আমার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা এসে সরাসরি কথা বলতে পারে। এখানে একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে যেটা বন্ধুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বোঝাপড়া যেন ভাল সেটার দিকে আমরা খেয়াল করি।
 
তরুন শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ স্বপ্ন দেখছেন স্টেট ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।