ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বই ছাপাখানায় অভিযান চালানো হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪
বই ছাপাখানায় অভিযান চালানো হবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: পাঠ্যপুস্তকে যারা নির্ধারিত কাগজের বাইরে নরমাল কাগজ ব্যবহার করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিগগিরই ছাপাখানার বিরুদ্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।



তিনি বলেন, অনেক ছাপাখানার লোক আছেন যারা নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপান। এতে শিক্ষার্থীরা নিম্নমানের বই নিয়ে বিপাকে পড়ে। তাই এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিয়েছে যাতে কোনোভাবেই নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপানো না হয়।

এবারই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে এনসিটিবি’র মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে  বই দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রোববার বিকেলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড(এনসিটিবি) মিলনায়তনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক।

মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সংকলন, বাংলা সহপাঠ ও ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাজারে গিয়ে যাতে শিক্ষার্থীদের প্রতারণার শিকার হতে না হয় সেজনই এবার এনসিটিবি’র মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকের বই বিতরণ করা হচ্ছে। যদিও শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়েই বইগুলো নিতে হবে। তবে বই নিয়ে আর কারো প্রতারণার শিকার হতে হবে না।

তিনি অভিভাবকদের নকল ছাপার বই না কেনার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি নকল ছাপার বই দেখলেই খবর দেওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার যারা নিম্নমানের বা অন্য  কাগজ দিয়ে বই ছাপাবেন তাদের কোনো ছাড় নেই।
 
তিনি বলেন, আমরা সকল প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবিলা করে প্রতিবছরই পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে পারছি। এই চেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আগামী বছর ৪ কোটি ৪৪ লাখ ছেলে মেয়েদের বই দিতে হবে। আগামী ১৩ আগস্ট উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে।

শিক্ষাসচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, টেক্সট বই বেসরকারি উদ্যোগে দেওয়া শিক্ষাক্ষেত্রে এ নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এজন্য প্রকাশক ও মুদ্রকদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, বই এর গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রকাশকদের উপর গুরু দায়িত্ব হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এটা আপনাদের করতে হবে। শুধুমাত্র ব্যবসার কথা চিন্তা করলেই হবে না। মনে রাখতে হবে আপনরা শিক্ষার্থীদের একটা মহান দায়িত্ব নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।