ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কাজী মোতাহার হোসেন স্মারক বক্তৃতা ও বৃত্তি প্রদান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪
কাজী মোতাহার হোসেন স্মারক বক্তৃতা ও বৃত্তি প্রদান

ঢাকা: জাতীয় অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেনের ১১৭তম  জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে “কাজী মোতাহার হোসেন স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান” অনুষ্ঠান রোববার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।



কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক সন্জীদা খাতুনের সভাপতিত্বে “গুরু কাজী মোতাহার হোসেন: নানা স্মৃতি ” শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী।

স্বাগত বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ জলিল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জাতীয় অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণায় তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, জাতি তা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

উপাচার্য বলেন, তিনি শুধু বিজ্ঞান শিক্ষা বা পরিসংখ্যানের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, মানব কল্যাণ ও মানবতার মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই সমাজের দিক-নির্দেশক ছিলেন। বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, অসম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ও সাক্ষরতার উন্নয়নে কাজী মোতাহার হোসেনের অনন্য সাধারণ অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তার উদ্ভাবিত ‘হোসেন চেইন’ এখনও পরিসংখ্যান গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসাবে বিবেচিত। কাজী মোতাহার হোসেনের জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের উপায় বের করার জন্য উপাচার্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। বিজ্ঞান, সাহিত্য, সঙ্গীত, ধর্ম, খেলাধূলা সব কিছুতেই তার অবাধ বিচরণ ও দক্ষতা ছিল। তার দৃষ্টিভঙ্গী ছিল অতি স্বচ্ছ ও প্রগতিবাদী। তিনি ধার্মিক ছিলেন, কিন্তু ধর্মান্ধ ছিলেন না।

অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১১ সালের এমএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী  মিঠুন কুমার আচার্যকে কাজী মোতাহার হোসেন পদক ও সম্মাননা এবং ২০১২ সালের বিএস সম্মান পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী শাহানাজ নীলিমাকে কাজী মোতাহার হোসেন বৃত্তি ও সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৯০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।