ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অবশেষে বাজারে এলো উচ্চ মাধ্যমিকের ৩ বই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪
অবশেষে বাজারে এলো উচ্চ মাধ্যমিকের ৩ বই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্য পাঠ, বাংলা সহপাঠ ও ইংলিশ ফর টুডে’র নতুন শিক্ষাক্রমের নতুন বই রোববার থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
মন্ত্রী রোববার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বাংলা সাহিত্য পাঠ, বাংলা সহপাঠ ও ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক বিপণন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন।


 
তিনি মুদ্রক ও প্রকাশকদের কাছ থেকে গ্রহণ করা ১০ সেট বই ১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিতরণ করেন।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এনসিটিবি প্রতিবছর ৩২ কোটি বই ছাপায়। সারাবিশ্বে এত বই কেউ ছাপায় না।
 
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বাংলা সাহিত্য পাঠ, বাংলা সহপাঠ ও ইংলিশ ফর টু-ডে’র প্রতিটি বইয়ের ছয় লাখ করে কপি ছাপানো হয়েছে। বাংলা সাহিত্য পাঠের সর্বোচ্চ মূল্য রাখা হয়েছে ১০২ টাকা, বাংলা সহপাঠের মূল্য ৪৭ টাকা এবং মূল্য ৯০ টাকা। এর মধ্যে বাংলা সাহিত্য পাঠ ও বাংলা সহপাঠ বই দুটো নতুন শিক্ষাক্রমে লেখা।

ইংলিশ ফর টু-ডে’তে নমুনা প্রশ্ন যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি বইয়ের সূচিপত্র ও প্রসঙ্গকথাসহ ইনারে হলুদ রঙের নিরাপত্তা কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে। বইগুলোর কভার ৩০০ গ্রামের আর্ট কার্ডে চার রঙের প্রচ্ছদ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিটি বিষয়ের আরো এক লাখ ২০ হাজার কপি অতিরিক্ত মুদ্রণের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
 
ক্লাস শুরু হলেও বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই তিনটি বই ছাপানোর ক্ষেত্রে একটি মামলা থাকায় বই ছাপাতে খানিকটা দেরি হয়েছে।

তবে ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়া ১৫টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে বইগুলো ছাপিয়ে বাজারজাত করছে বলে জানান মন্ত্রী।
 
মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান ১৫টি হলো- সরকার প্রকাশনী, কামরুল পাবলিকেশন্স, হরফ পাবলিকেশন্স, আনন্দ প্রিন্টার্স, পূঁথিনিলয়, বই সামগ্রী, মাদার্স পাবলিকেশন্স, বুকম্যান প্রিন্টার্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স, প্রিয়াংকা প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স, আলমগীর প্রেস পাবলিকেশন্স, কচুয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স, দোহার প্রিন্টিং প্রেস, সাহিত্য সাগর ও বর্ণমালা প্রকাশনী।
 
এনসিটিবি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুদ্রক ও প্রকাশক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্রমান্বয়ে দেশের মুদ্রণশিল্পের দক্ষতা ও মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নয়ন অংশীদারদের নানা শর্তের কারণে বই ছাপাতে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করতে হয়। তবে বিদেশি প্রেসের কাজ পাওয়ার হার ক্রমান্বয়ে কমছে। আগামীতে তা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
 
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপাতে গিয়ে কোনো কোনো অসাধু প্রেস নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার, বাঁধাইয়ে গাফিলতিসহ নানা অপতৎপরতা চালান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব বই এদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য। আপনার-আমার সন্তানের জন্য।

তাদের স্বার্থে এসব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শিগগিরই প্রেসগুলো ঘুরে দেখবেন বলে জানান তিনি।
 
এনসিটিবি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, আনন্দ প্রিন্টার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাব্বানী জাব্বার, পূঁথিনিলয়ের স্বত্ত্বাধিকারী শ্যামল পাল, এনসিটিবি’র সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) নারায়ণ চন্দ্র পাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।