ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

তিন কক্ষের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় সিলগালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৪
তিন কক্ষের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় সিলগালা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: দুটি শ্রেণিকক্ষে মোট ২০টি চেয়ার রয়েছে। অন্য কক্ষটিতে দু’টি কম্পিউটার দিয়ে চালানো হয় ভর্তি কার্যক্রম ও দাফতরিক কাজ।

আর দালালদের কমিশন দিয়ে চলতো ছাত্রভর্তি কার্যক্রম। শুধু তাই নয়, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে ক্লাশপ্রতি ৫০০ টাকা সম্মানীর বিনিময়ে সদ্য পাস করা শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিবিএ, ইংরেজি সাহিত্যের মতো ক্লাশ নেওয়া হতো।

এভাবেই চলছিল প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির রাজশাহীর শাখা ক্যাম্পাস।

কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) রাজশাহীর ক্যাম্পাসটি অবৈধ ঘোষণা করে। ইউজিসির কাছ থেকে চিঠি পেয়ে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা মোড়ের ৪০২ নম্বর বাড়ির চারতলায় তিন কক্ষের ওই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। রাজশাহী জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে দুপুরে ক্যাম্পাসে তালা লাগিয়ে সিলগালা করা হয়।

জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ওই অবৈধ শাখা ক্যাম্পাসটি উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই শাখা ক্যাম্পাসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রাজশাহী ক্যাম্পাসের নির্বাহী পরিচালক ইব্রাহীম শেখ জানান, একবছর আগে ক্যাম্পাসটি চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে ৪৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। নিয়মিত উপস্থিতি ৪৩ জনের। বাকি ৬ জন ভর্তি হয়েও আর আসেন না। ক্যাম্পাসটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন চারজন।

তিনি দাবি করেন, রাজশাহী ক্যাম্পাসটি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত শাখা। যদিও এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ক্যাম্পাসের নির্বাহী পরিচালক ইব্রাহীম শেখ।

ভর্তির রশিদ বইয়ের উল্টোদিকে কমিশন হিসেবে বিভিন্ন টাকার সংখ্যা সম্পর্কে তিনি জানান, ‘কেউ ছাত্র ভর্তি করতে নিয়ে আসলে তাকে প্রথম জমার ৫০ ভাগ টাকা দেওয়া হতো। স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষকদের ক্লাশপ্রতি দেওয়া হতো ৫০০ টাকা করে। ’

তবে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা নিয়োগপত্রের কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
 
ক্যাম্পাসের নির্বাহী পরিচালক ইব্রাহীম শেখ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম এন হক।

এম এন হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ক্যাম্পাস আছে। কিন্তু রাজশাহীতে কেন সমস্যা হলো তা বুঝতে পারছি না। রোববার আমি রাজশাহী গিয়ে বিষয়টি দেখবো। ’
  
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।