ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যদিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘কালো দিবস’ পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

২০০৭ সালের ২০ থেকে ২৩ আগস্ট  সেনা সমর্থিত সরকার কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর সংঘটিত অমানবিক, বেদনার্ত, নিন্দনীয় ও বর্বরতম ঘটনার স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়।



এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সব ক্লাস স্থগিত রাখা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের ২য় তলার সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন- কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, কারিগরী সমিতির সভাপতি জামালউদ্দিন, ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শাহাজাহান পাটোয়ারি এবং ছাত্রনেতা এস এম রফিকুল ইসলাম সুজনসহ অন্যান্যরা।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল এবং যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল ও যারা এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করেছিল তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।

এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেলক্ষ্যে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য।

একই সঙ্গে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর সংঘটিত অমানবিক ও বেদনার্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় থাকলেও সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী, সত্যের জয় হবেই। গণতন্ত্রকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে একটি সভ্য সমাজ বির্নিমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কার্যকর ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য  করেন তিনি।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন:
প্রতিবাদী ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এতে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মীজানুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএম আকাশ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, সিনেট সদস্য অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী, সাবেক প্রক্টর সাইদুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।

প্রতি বছর ২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কালো দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এ বছর ২৩ আগস্ট শনিবার সাপ্তাহিত ছুটি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অফিস বন্ধ থাকায় ২৪ আগস্ট ২০১৪ ‘কালো দিবস’ পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।