ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৫
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল সোমবার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুনন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে সোমবার।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে রংপুর সদর উপজেলার ১নং পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লড়বে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপক্ষে।



একই মাঠে বিকাল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনালে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হবে সিলেটের জৈন্তাপুরের করগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

রোববার (৭ জুন‘২০১৫) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফুটবল টুর্নামেন্টের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।

২০১০ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু এবং ২০১১ সাল থেকে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আসছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এবার বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে ৬৩ হাজার ৪১৪টি বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮ জন শিক্ষার্থী এবং বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে ৬২ হাজার ৭৩৪টি বিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৬৬ হাজার ৪৭৮ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী সাতটি করে মোট ১৪টি দল গত ৩১ মে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিভাগীয় পর্যায়ের খেলায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৪টি দল ফাইনালে খেলবে।

খেলোয়াড় সংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে এ টুর্নামেন্ট দুটি বিশ্বের বৃহৎ টুর্নামেন্ট বলে দাবি করেন মন্ত্রী। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের সহিষ্ণুতা ও মনোবল বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধসহ প্রতিযোগি মনোভাব গড়ে তোলা সম্ভব বলে জানান ফিজার।

এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তৃণমূল থেকে ভাল খেলোয়াড় তৈরি হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায়ে জয়ী খেলোয়াড়দের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ৬ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেবে। ভবিষ্যতে তারা জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৩ এবং পরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সুযোগ পাবে বলেও জানান ফিজার।

ইউনিয়ন পর্যায়ের বিজয়ী দলগুলো উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে লড়াই করেছে। উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী দলগুলো জেলা পর্যায়ের বিদ্যালয়ের সঙ্গে খেলে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।

ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন দলকে এক লাখ টাকা, রানার আপ দলকে ৭৫ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থানে থাকা দলকে ৫০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি দেওয়া হবে বলে জানান গণশিক্ষা মন্ত্রী।

প্রতিবার প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও এবার তার ব্যস্ততার কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মধ্যে ট্রফি বিতরণ করবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেছবাহ উল আলম, অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সন্তোষ কুমার অধিকারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।