ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের ৪ নেতা-কর্মী সাসপেন্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
বাকৃবিতে ছাত্রলীগের ৪ নেতা-কর্মী সাসপেন্ড

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 

রোববার (১৪ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

ওই চার নেতা-কর্মী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক শেখ মারুফ আহমেদ, ছাত্রলীগ কর্মী সৈয়দ মো. রাকিব, মো. কামরুল হাসান ও মো. আকিল আকতার।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগসহ দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি ও নানা ষড়যন্ত্রের প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, গত ১৪ মে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যালয়ে রহস্যজনকভাবে  আগুন লাগে। তার ও সংগঠনের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবুর সম্পর্কে ফাটল ধরাতে বহিরাগতদের ইন্ধনে দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা এ ঘটনা ঘটায়।

পরে দলীয় সহসম্পাদক শেখ মারুফ আহমেদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও রাব্বী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রুবেল মিয়ার ফেসবুকের আলাপ ফাঁস হয়ে যায়। ফেসবুকে তারা দলের ভেতর গ্রুপিং-কোন্দলসহ ষড়যন্ত্রের ছক কষছিলেন। এ ফেসবুক আলাপ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় দলের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি বিজয় কুমার বর্মণ বলেন, সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রুবেল মিয়া কূটকৌশল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার গোপন ষড়যন্ত্র করেছিলেন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করতে তাদের নেতৃত্বে একটি সুবিধাভোগী চক্র কাজ করছিল। কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু বাংলানিউজকে জানান, দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় ওই চারজনকে তিন মাসের জন্য দলীয় সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রুবেল মিয়া জড়িত বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
এসএন/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।