ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের দাবি ছবি: দীপু/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাকে অপ্রতুল উল্লেখ করে এ খাতে জিডিপির ন্যূনতম ৬ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘উচ্চ শিক্ষায় বাজেট বিষয়ক বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি।

মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষাখাতে বাজেটে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা রূপকল্প ২০২১ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যেখানে শিক্ষাখাতে ৬ শতাংশের ওপরে বরাদ্দ দেয় সেখানে বাংলাদেশে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ। যা শিক্ষাখাতের উন্নয়নের জন্য খুবই অপ্রতুল।

এ সময় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণা খাতে ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে শিক্ষকদের বেতনের ৪০ শতাংশ এ খাতে বরাদ্দ রাখুন। তা না হলে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা সম্ভব হবে না।

হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর অর্থমন্ত্রীর ‘চার হাজার কোটি টাকা তেমন কিছু না’ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মাকসুদ কামাল বলেন, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা যদি কিছু না ই হয় তাহলে সেই পরিমাণ টাকা গবেষণা খাতে বরাদ্দ দিন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যদি নিজের টাকায়ই চলতে হয় তাহলে প্রাইভেটের সঙ্গে এর পার্থক্য থাকল কোথায়?

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আলাদা পে-স্কেল গঠন করারও দাবি জানান তিনি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক আবু ইউসুফ।

আলোচনায় আরও অংশ নেন উন্নয়ন অধ্যাপক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এসএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।