ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবির আইন বিভাগে বে-আইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
ইবির আইন বিভাগে বে-আইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগে দুই বছর আগের প্লানিং ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২৭ জুন ওই বিভাগে নিয়োগ বোর্ডের তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিষয়টিকে বেআইনি বলে দাবি করছেন বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষক।

বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগে ছয়জন শিক্ষক অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান।

বাকি পাঁচ শিক্ষককে স্থায়ী করার জন্য ২০১২ সালে বিভাগীয় প্লানিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।

পরে, অভ্যন্তরীণ নীতিমালার অধীনে সিন্ডিকেটে পাশ হয়ে ওই পাঁচ শিক্ষক স্থায়ী হয়ে যান। পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক পদে তারা কর্মরত। এতে করে, আগে প্রচারিত ওই বিজ্ঞপ্তির আইনগত কোনো বৈধতা নেই বলে দাবি করেছেন বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষক।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনের তোয়াক্কা না করে মেয়াদোত্তীর্ণ ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর বিভাগে আবারো শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিভাগের ১২ জন শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ এবং অবস্থান কর্মসূচির হুমকি দিলে ওই দিন দুপুরে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষকরা জানান, এরপর ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আইনগত কোনো ধরনের কার্যকারিতা নেই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারকে অবিহিত করা হয়। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে নতুন করে প্লানিং করে নিয়োগের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন শিক্ষকরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে ব্যবস্থা না করে নতুন করে আবারো ২৭ জুন নিয়োগ বোর্ডের তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে আইন ও শরীয়াহ্ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম লিখিতভাবে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য বরাবর আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বিজ্ঞপ্তির আইনগত বৈধতা নেই জানিয়ে নতুনভাবে প্লানিং করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।