ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফলের পর এবার একাদশে ভর্তি জটিলতা

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৫
ফলের পর এবার একাদশে ভর্তি জটিলতা

ঢাকা: চার দফায় পেছানোর পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীতদের প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশের পরও ‘স্মার্ট অ্যাডমিশন সিস্টেম’এ জটিলতা কাটছেই না। এবার ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

ফল প্রকাশের ১২ ঘণ্টা পর এখনও তালিকা পায়নি কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে বিলম্বিত হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া।

একাদশে ভর্তির প্রথম দিন সোমবার (২৯ জুন) রাজধানীর একাধিক কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক এবং ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

রোববার (২৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছুদের তালিকা প্রকাশ করে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। বুয়েটের আইআইসিটি’র কারিগরি সহায়তায় এবার এসএমএসের পাশাপাশি সারা দেশে একযোগে অনলাইনে আবেদন করে সদস্য এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা।

ফল প্রকাশের পর আবেদনকারীদের মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। ভর্তির জন্য ওয়েবসাইট (http://xiclassadmission.gov.bd/) ছাড়াও স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডে ফল দেওয়া হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা ডাউনলোড করে নিতে বলা হয়। কিন্তু রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মনোনীতদের তালিকা পায়নি। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বিলম্ব ঘটছে।
 
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যারা এসএমএস পেয়েছে তাদের ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু তালিকা না পাওয়ায় বাইরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা যায়নি।

উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন শাখায় এক হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে বলে জানান শাহান আরা।

১১ লাখ ৫৭ হাজার ২২৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে প্রথম মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী।

এদিকে নিজের কলেজে চান্স না পেয়ে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে কান্নার রোল।

এ কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, অন্তত ১৫/২০ জন ছাত্রীর তালিকায় নাম আসেনি। বোর্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে তিনি যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে জানান।

এদিকে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, উত্তরা সিটি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তালিকা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া পছন্দ না দিলেও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অন্য বিভাগে মনোনয়ন দেওয়ারও অভিযোগ এসেছে। এসব নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ডিজিটাল ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বাদ পড়া এবং মনোনীতদের অনেকেই পছন্দের বিভাগ ও কলেজ না পাওয়ায় ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিতা সুলতানা।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আগে থেকে বিষয়গুলোর চর্চা করলে এ জটিলতা হতো না। তিনি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ঘোষণা অনুযায়ী, বিলম্ব ফি ছাড়া ২৯ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত প্রথম মেধা তালিকা আর বিলম্ব ফি দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ৬ জুলাই। তারা ১০ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে।

তবে পূর্বনির্ধারিত ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।   কিন্তু তালিকা না যাওয়ায় ভর্তি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এসব বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শককে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।

ভর্তির ফলাফল প্রকাশ ও অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ার বিবরণ দেখতে ক্লিক করুন:
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর

** আমার কারণেই জটিলতা: শিক্ষাসচিব
** অবশেষে প্রকাশ হলো একাদশে ভর্তির তালিকা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।