ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভোগান্তি নিয়ে হল ছাড়লো বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৫
ভোগান্তি নিয়ে হল ছাড়লো বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগ ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে হল খালি করার নির্দেশের পর সকালেই হল ছেড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে মধ্যরাতে মাইকিং করে খালি করার নির্দেশে বিপাকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।



বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের ওই সংঘর্ষের কারণে বুধবার (০৮ জুলাই) সকাল ৮টার মধ্যে ছেলেদের এবং ১০টার মধ্যে মেয়েদেরকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেহরির সময় মাইকিং করে বিষয়টি জানানো হয়।

এদিকে ভোর হতেই ব্যাগ-লাগেজ হাতে একে একে হল ত্যাগ করতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। সে সময় বাসায় যাওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তির চিত্র ফুটে উঠে তাদের চোখ-মুখে। অনেককে বাস ও রেলের টিকেটের জন্য ময়মনসিংহ বাস ও রেল স্টেশনে প্রহর গুনতে দেখা যায়।

বিপাকে পড়া শিক্ষার্থীরা জানায়, হল খোলা থাকবে চিন্তা করে শুক্রবার ও শনিবারে বাসায় যাওয়ার জন্য টিকেট করেছে অনেকেই। কিন্তু এখন হঠাৎ বাধ্যতামূলক হল ছাড়ার বিষয়টা অনেকটাই অনাকাঙ্খিত।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, বন্ধ শেষে ২৬ জুলাই (রোববার) যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবাগুলো- হেল্থ কেয়ার সেন্টার, বিদ্যুত, গ্যাস, পানি সরবরাহ, প্রিভেনটিভ শাখা, নিরাপত্তা শাখা ন্যূনতম কর্মচারী দিয়ে চালু থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, সেহরির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্টদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় জসিম গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে আটকে রেখে মারধর করে। পরবর্তীতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে জসিম গ্রুপের নেতাকর্মীদের পাল্টাধাওয়া করে। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেওয়াটখালি এলাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬ জন আহত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।