ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবি শিক্ষককে জনযুদ্ধের হুমকি, চাঁদা দাবি

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৫
রাবি শিক্ষককে জনযুদ্ধের হুমকি, চাঁদা দাবি ড. সফিকুন্নবী সামাদী

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে নগরীর মতিহার থানায় বিষয়টি উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।



এর আগে, শুক্রবার রাতে 'জনযুদ্ধের কমান্ডার মেজর জিয়া' পরিচয়ে তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

ড. সফিকুন্নবী বলেন, 'শুক্রবার রাত ৮টা ২৯মিনিটে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে তার মোবাইল ফোনে কল আসে। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ‘বিডিআর সেলিম’ বলে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে তিনি তার নেতার কাছে ফোন দিয়ে আমাকে কথা বলতে বলেন। এ সময় ওই নেতা নিজেকে জনযুদ্ধের কমান্ডার মেজর জিয়া বলে পরিচয় দেন’।

‘তার দলের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছে এবং ভারতে তাদের চিকিৎসা চলছে- উল্লেখ করে আমার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই নেতা। পরে, সেই দাবি ৫০ হাজার টাকায় নেমে আসে'।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি যখন জিয়াকে বলি আমার পক্ষে কোনো অর্থ দেওয়া সম্ভব নয়, তখন তিনি আমার সন্তানের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনার পর পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি'।

এর আগে, লাল বাহিনী, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করার ঘটনা ঘটেছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বা ঘটনা পুলিশ কিংবা অন্য কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেওয়া হতো বলে জানান শিক্ষকরা।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ছয়মাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের কাছে ফোন করে চাঁদা দাবি ও হুমকি দেওয়ার মতো উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। অনেকে হয়তো ভয়ে তাদের টাকাও দিচ্ছেন। যার কারণে এটা আরো বাড়ছে। আমরা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ’

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষক পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এর আগে, যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো অধিকাংশ নাম পরিচয়হীন ফোন নম্বর থেকে দেওয়া হয়। ফলে এ পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, বিষয়টি ‘আইটি এক্সপার্ট’ দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।