ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রুয়েটে ১৩ সিরিজের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
রুয়েটে ১৩ সিরিজের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একটি শিক্ষাবর্ষের সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে বাধ্যতামূলক নূন্যতম ক্রেডিট অর্জন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছিলো শিক্ষার্থীরা।



মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে তা জানানো হয়। ২০১৩-১৪ বষের্র ১৪টি বিভাগে মোট ৭২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল আলম বেগ বাংলানিউজকে জানান, গুটিকয়েক শিক্ষার্থী ন্যূনতম ক্রেডিট কমানোর দাবিতে অযৌক্তিক আন্দোলন করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যাতে ক্যাম্পাসে কোনো অস্থিতিশীল ও সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য ১৩ সিরিজের সব শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি বুঝে ক্লাস শুরুর তারিখ জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, দাবি আদায়ে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো ভিসিকে অবরুদ্ধ করে দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবারও শিক্ষার্থী দিনভর ভিসিকে অবরুদ্ধ রেখে দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষাবর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তাদের যৌক্তিক আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ ভয় পেয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে এই বর্ষের সব শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে সবাই বসে দ্রুত কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এক বর্ষ থেকে আরেক বর্ষে উত্তীর্ণ হতে তাদের ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করার নিয়ম রয়েছে। এর আগে কেউ এই ক্রেডিট অর্জন করতে না পারলেও পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারতো। পরবর্তীতে পরীক্ষা দিয়ে ক্রেডিট পূরণের সুযোগ ছিল। কিন্তু ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পদ্ধতি তুলে নেওয়া হয়েছে।

এখন কোনো শিক্ষার্থী যদি ন্যূনতম ক্রেডিট অর্জন করতে না পারে তবে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তাকে আগের বর্ষে থেকে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে ন্যূন্যতম ক্রেডিট অর্জন করতে হবে। যা ‘অস্বস্তিকর’ বলে দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।