ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এক দিনে ২ পরীক্ষা, বিপাকে ২ লাখ চাকরিপ্রার্থী

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৫
এক দিনে ২ পরীক্ষা, বিপাকে ২ লাখ চাকরিপ্রার্থী

ঢাকা: একই দিনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের নিবন্ধন পরীক্ষা থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন সোয়া দুই লাখ চাকরিপ্রার্থী।

আগামী ২৮ আগস্ট (শুক্রবার) ১৭ জেলায় প্রাথমিকের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ৫০ হাজার ৭৬৫ জন।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ও ২৯ আগস্ট।

২৮ আগস্ট, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ে ৪১ হাজার ২০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এনটিআরসিএ’র পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রাথমিকের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হবে না অনেক প্রার্থীর।

প্রাক-প্রাথমিক ও শিক্ষক নিবন্ধনে আবেদনকারী একাধিক প্রার্থী বাংলানিউজকে বলেন, একটি পরীক্ষা না পেছালে চরম বিপাকে পড়বেন তারা।

আগামী ২৮ আগস্ট, শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে ১৭ জেলায় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পঞ্চগড় ও বাগেরহাট জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ করে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় গত ২৭ জুন নড়াইল, মেহেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফেনী জেলায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৪ আগস্ট প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তারিখ নির্ধারণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল নিবন্ধন পরীক্ষার সূচি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল। দুই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন পরীক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এনটিআরসিএ’র অধীনে ২৯ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে অংশ নেবে ৩৪ হাজার ৭৮৬ জন পরীক্ষার্থী।

গত ১২ জুন অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় স্কুল পর্যায়ে তিন লাখ ১৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং কলেজ পর্যায়ে এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৩১; অর্থাৎ মোট চার লাখ ৮০ হাজার ৬৭০ প্রার্থী অংশ নেবেন। গত ২১ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

আগে স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা একই দিন বিরতিহীনভাবে গ্রহণ করা হতো। এবারই প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা আলাদা দিনে নেওয়া হচ্ছে।

প্রিলিমিনারি টেস্ট ২০টি জেলাভিত্তিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলেও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুধু সাত বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।

এনটিআরসিএ’র সদস্য ফাতেমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।