ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসম্পূর্ণ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসম্পূর্ণ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, বিক্ষোভ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের 'রিসার্চ মেথোডোলজি' বিষয়ের পরীক্ষায় ১২২ পরীক্ষার্থীকে অসম্পূর্ণ প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। ২০ নম্বরের প্রশ্ন না থাকায় উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

 
 
এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও বিজয়নগরের ইসলামপুর কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
 
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, সাজন খান, আশরাফুল ইসলাম ও ইসলামপুর কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মোস্তাকিম মিয়া, শামসুল আরেফিন, জাহিদ খান, ইয়াকুব মিয়া জানান, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের রিসার্চ মেথোডোলজি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই ৩০১ এবং ৩০২ নম্বর কক্ষের ১২২ জন পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রে দেখতে পান, প্রশ্নের ‘সি’- পার্টে আটটি প্রশ্নের স্থলে ছয়টি প্রশ্ন ছাপা হয়েছে। অপর দিকে একই বিষয়ের পরীক্ষায় পাশের ৩০৩ নম্বর কক্ষের ৩৮ জন শিক্ষার্থীর প্রশ্নে আটটি প্রশ্নই ছাপা হয়েছে। ওই আটটি প্রশ্ন থেকে তাদের পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লেখার কথা থাকলেও ১২২ জন এ সুযোগ হারিয়েছেন।  
 
৩০১ এবং ৩০২ নম্বর কক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক বিষয়টি ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের আহ্বায়ক প্রভাষক ড. আব্দুল লতিফকে জানান। কিন্তু তিনি বিষয়টি সুরাহা করতে পারেননি। ফলে ১২২ জন শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েন। পরে শিক্ষার্থীরা ওই কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।  
 
বিক্ষোভকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, একই পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই ধরনের প্রশ্ন সরবরাহ করায় তাদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। প্রশ্নপত্রের সমস্যার কারণে তারা ২০ নম্বর উত্তর করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
 
প্রশ্নপত্রে এমন ভুল সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. আব্দুল লতিফ জানান, প্রশ্নপত্রে এমন ভুলের জন্য অবশ্যই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী। এ ব্যাপারটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হামজা মাহমুদ জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থীদের খাতাগুলো আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
এমজেড  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।