ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাজাপুর রিসোর্স সেন্টার

প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৫
প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরে রিসোর্স সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা বিভাগের সহকারী ইন্সট্রাক্টর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানানন্দ বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি বিশ্বাসবাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার দেড় শতাধিক শিক্ষক।

 
 
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, চলতি বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেন। বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণে ২৫ জন করে শিক্ষকদের জনপ্রতি ৩ হাজার ৭৮০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও ৩ হাজার ১০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে ব্যাগ বাবদ ৫০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও ২০০ টাকা মূল্যের ব্যাগ দিয়ে বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। এছাড়া, প্রশিক্ষণের নাশতার টাকার একটি বড় অংশ তিনি কেটে রাখেন।
 
অংশগ্রহণকারীদের কোর্স ম্যাটেরিয়াল বাবদ প্রত্যেকের নামে বরাদ্দ ৩০ টাকা মূল্যের স্থলে ৪ টাকা মূল্যের একটি কলম দেওয়া হয়। সাপোর্ট সার্ভিস ভাতা বাবদ ২০০ টাকা থেকে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ টাকা করে কেটে রাখা হয়। বিজ্ঞানের তিনটি ব্যাচ, শারীরিক শিক্ষার চারটি ব্যাচ, লিডারশিপের তিনটি ব্যাচ, গণিত, বাংলা, ইংরেজি প্রাক প্রাথমিক প্রশিক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম করে শিক্ষকদের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ভুয়া ভাউচার করে অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ করা হয়েছে।
 
এর আগে, উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ বিষয়ে বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ তদন্তে পিরোজপুর পিটিআইয়ের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট এসএম আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান এসএম আলমগীর কাছেও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা ব্যাপক অভিযোগ তুলে ধরেন। কিন্তু তারপরেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  
 
নজরুল ইসলাম চাঁন, হুমায়ূন কবির, সাইফুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, মহসিন উদ্দিনসহ একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, প্রথম থেকেই ওই কর্মকর্তা শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ভাতা থেকে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।
 
তবে, সহকারী ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
 
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানানন্দ বিশ্বাস জানান, শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৫
এমজেড 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।