ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাঠ্যবই ছাপানোর সংকট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
পাঠ্যবই ছাপানোর সংকট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানো নিয়ে সৃষ্ট সংকট কাটাতে এবার উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এনসিটিবি, প্রকাশক ও প্রেস মালিকদের সঙ্গে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী।


 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (৩১ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) প্রকাশকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগের রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরেন মন্ত্রী।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এনসিটিবি’র মাধ্যমে প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ পেয়েছে দেশীয় ২২টি প্রতিষ্ঠান।   
 
বিশ্বব্যাংক গত ১৭ আগস্ট বইয়ের মান নিয়ে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়ায় বই ছাপাতে কার্যাদেশ দিতে পারছে না এনসিটিবি। প্রকাশক-প্রেস মালিকদের অভিযোগ, বিশ্বব্যাংকের শর্তের কারণে মুখ থুবড়ে পড়ছে মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্প।
 
বিকাল পাঁচটায় সচিবালয়ে নিজ দফতরে বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এনসিটিবি, প্রকাশক ও প্রেস মালিকদের সঙ্গেও বসবেন শিক্ষামন্ত্রী। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন।
 
প্রাথমিকে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৫৮৬ কপি বই ছাপানো হবে।
 
৩৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ২২১ কোটি টাকায় বই ছাপানোর কাজ করছে দেশীয় ২২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৯ শতাংশ, অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকা।
 
জামানত ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ, কাগজ কেনার পর বিশ্বব্যাংকের কারিগরি শাখার কাগজের মান ও ফর্মা পরীক্ষা এবং উপজেলা পর্যায়ে যাওয়া বইয়ের মান পরীক্ষার শর্ত দেয় বিশ্বব্যাংক।
 
শুধু তাই নয়, মান পরীক্ষার পর সন্তোষজনক হলে বিল পরিশোধ করা হবে বলেও জানায় তারা।
 
বছরের প্রথম দিন বই দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও ছাপানোর কাজ শুরু করতে না পারায় উদ্বেগের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বসছেন বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
 
** হুমকি প্রকাশকদের, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে মন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।