ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা শুরু মঙ্গলবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা শুরু মঙ্গলবার

ঢাকা: ৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর), শেষ হবে আগামী ১০ অক্টোবর।
 
আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা ৭ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের পরীক্ষা হবে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।


 
সোমবার (৩১ আগস্ট) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ. ই. ম. নেছার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাতটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
আবশ্যিক বিষয় গাণিতিক যুক্তি, গণিত, ফলিত গণিত, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থবিদ্যা, পরিসংখ্যান, হিসাব বিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়সমূহের পরীক্ষা ব্যতিত অন্য সকল পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
 
পিএসসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হলে সকল ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ যন্ত্র, বই-পুস্তক ও ব্যাগসহ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
 
কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে এসব পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বিসিএস পরীক্ষার বিধিমালা ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল এবং ভবিষ্যতে কমিশনের অন্য পরীক্ষায় অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।   
 
পিএসসি জানায়, ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোড না থাকলেও প্রথমপত্রে ০০১ এবং দ্বিতীয়পত্রে ০০২ কোড লিখতে হবে। দুটি লিথোকোডযুক্ত মূল উত্তরপত্রে দুই অংশে উত্তর লেখা বাধ্যতামূলক, অন্যথায় উত্তরপত্র বাতিল হবে। একই প্রশ্নপত্রে ভিন্নভাবে দুই পত্রের জন্য ১০০ নম্বর করে প্রশ্ন থাকবে।
 
আর ৭ সেপ্টেম্বর কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের পছন্দ প্রদানকারীদের জন্য (খ) ক্রমিকে বর্ণিত ১০০ নম্বরের তিন ঘণ্টার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার শর্ত ও কোড নম্বর অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে পিএসসি।
 
এবার সর্বোচ্চ দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী নিয়ে গত ৬ মার্চ ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
 
গত ৮ এপ্রিল প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি, যাতে উত্তীর্ণ হয় ২০ হাজার ৩৯১ জন।
 
নতুন নিয়মে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে চার ঘণ্টা, আর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে তিন ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় গড় পাস নম্বর ন্যূনতম ৫০ শতাংশ। কোনো প্রার্থী ৩০ নম্বরের কম পেলে তিনি উক্ত বিষয়ে কোনো নম্বর পাননি বলে গণ্য হবেন।
 
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় একইভাবে পাস করতে হবে।
 
বিসিএস বিধিমালা সংশোধনের পর নতুন নিয়ম ও সিলেবাসে ২০০ নম্বরে দুই ঘণ্টার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়।   আগে ১০০ নম্বরে এক ঘণ্টা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।