ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের ‘পারমাণবিক শক্তি : প্রশ্নোত্তর’ পুস্তিকা বিতরণ

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫
শিক্ষার্থীদের ‘পারমাণবিক শক্তি : প্রশ্নোত্তর’ পুস্তিকা বিতরণ

ঢাকা: বাংলা ভাষায় অনূদিত ‘পারমাণবিক শক্তি : প্রশ্নোত্তর’ শীর্ষক পুস্তিকা বিতরণ করা হয়েছে পাবনা শহরে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের। ৩০টি বিদ্যালয়ে এক হাজারের বেশি পুস্তিকা উপহার হিসেবে দিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি করপোরেশন, রসাটম।


 
এতে সার্বিক সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। পাবনা জেলার অন্তর্গত ইশ্বরদীর রূপপুরেই স্থাপিত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
 
বাংলা ভাষায় এ পুস্তিকাটির মোড়ক উন্মোচন করা হয় গত অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। এতে ঠাঁই পেয়েছে পারমাণবিক শক্তি, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা, নিরাপত্তা এবং পরিবেশের ওপর এর প্রভাব সংক্রান্ত যে সব প্রশ্ন জনমনে সচারাচর উদিত হয়, তেমনই ৩০টি প্রশ্ন ও তার উত্তর। পাঠকের সুবিধার জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক জ্বালানিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর বিভিন্ন বর্ণনামূলক ছবিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
 
রসাটম’র আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিস্লাভ বোচকোভ পুস্তিকা বিতরণ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, যেখানে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে সে অঞ্চলের জনগণকে পরমাণু শক্তির বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
এর আগে ঈশ্বরদী এবং পাকশির বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এ পুস্তিকাটি বিতরণ করা হয়। বাংলাভাষায় এটি প্রথম পুস্তিকা, যেখানে সহজ ভাষায় পরমাণু শক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। রসাটম চলতি বছরেই ইশ্বরদী ও পাবনাতে আরও কিছু জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে বলেও তিনি জানান।
 
ইশ্বরদীতে একটি আধুনিক তথ্যকেন্দ্র খোলা হবে, যেখানে আগ্রহী ব্যক্তিরা আণবিক শক্তি, বিশেষ করে রূপপুর প্রকল্প বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বর্তমানে ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারে অনুরূপ একটি তথ্য কেন্দ্র চালু রয়েছে।
 
রসাটম রূপপুরের ইশ্বরদীতে প্রতিটি ন্যূনতম ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি আণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০১৬ সালে এর মূল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫
এসআই/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।