ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাস-ফেল যাই বেশি হোক, অভিযোগ একই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫
পাস-ফেল যাই বেশি হোক, অভিযোগ একই

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পাস বেশি করলে আক্রমণের শিকার হই, কম করলেও একই অভিযোগ আসে। আমরা পাসও করাই না, ফেলও করাই না।



এবার এইচএসসিতের কম পাস করার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে ধংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। তাদের এই রাজনৈতিক কুফল পড়েছে শিক্ষার্থীদের উপর। আমাদের ছেলে-মেয়েরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার কারণেই এবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে। পাশাপাশি নতুন অন্তর্ভুক্ত সৃজনশীল পদ্ধতি বিষয়ে অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ঠিকমত বোঝাতে না পারা ফলাফল খারাপ হওয়ার আরেকটি কারণ।
 
অতিরিক্ত পাসের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রশ্নোত্তর ফাঁস নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে প্রশ্ন উঠেছিল আমরা বেশি নম্বর দিয়ে পাসের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। এ অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। যেসব স্কুলে পাসের সংখ্যা কম ছিল কিংবা একজনও পাস করেনি, সেসব স্কুলে সরকারি খরচে অতিরিক্ত ক্লাস করানোর কারণে পাসের সংখ্যা বেড়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি আমাদের এখন জীবন-মরণ যুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব তোলা হয়। মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকারের গৃহীত নানা কঠোর পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন প্রশ্নপত্র ফাঁস করা মোটেই সহজ নয়। বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপা হচ্ছে। বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা প্রশ্ন দেখার কোনো সুযোগ পান না। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
 
নতুন ভবন নির্মাণে এমপিদের কাছে ১০টি নাম চাইলেন:
যে সব জেলা-উপজেলায় এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভবন নির্মাণ হয়নি, এমন সব জেলা উপজেলার জন্য সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে দশটি করে নাম চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, যেখানে কখনই ভবন নির্মাণ হয়নি এমন সব জায়গার নাম দেবেন। অর্থ বরাদ্দ পেলেই নতুন ভবন করে  দেবো।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ১০ হাজার ৭শ ৭৫টি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এছাড়া ৪শ ৭৫টি কারিগরি শিক্ষার জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এজন্য প্রত্যেক সংসদ সদস্য দশটি করে নাম  দেবেন যেখানে ভবন নির্মাণ করতে চান। এরমধ্যে থেকে প্রথম দিকে ৩টি অগ্রধিকার ভিত্তিতে নির্মাণ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও করা হবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আইলা দুর্গত এলাকায় ২ হাজার ভবন নির্মাণ করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।