ঢাকা: মাধ্যমিক স্তরের সব স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বলা ও শোনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা দেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক বারবারা উইকহাম চুক্তিতে সই করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ে ইংরেজি বলা ও শোনার দক্ষতার জন্য পরীক্ষায় ইংরেজি প্রথমপত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সব পরীক্ষায় এ মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর করা হয়। কিন্তু সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপকরণ ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাবে বিষয়টি কার্যকর রূপ পায়নি।
চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি বলা ও শোনার দক্ষতা উন্নয়নে দুই বছরের সহায়তা দেবে। ব্রিটিশ কাউন্সিল জরিপ করে ইংরেজি বলা ও শুনে বোঝার দক্ষতা অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূর করার জন্য রোডম্যাপ তৈরি করবে। পরবর্তী সময়ে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চুক্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হলে শুধু পড়া ও লেখা দিয়ে হবে না, বলা ও শোনার ক্ষেত্রেও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কিন্তু এটা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা দুর্বলতা। এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে দক্ষতা অর্জন জরুরি।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দক্ষতা অর্জনের পদ্ধতিগুলো তারা আমাদের শিখিয়ে দেবেন, যাতে আমাদের ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে লেখা ও পড়া ছাড়াও বলা ও শুনে বুঝতে পারার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষার চারটি স্কিল আয়ত্ব করার মাধ্যমে এ ভাষা পুরোপুরি দখলে আনতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। ইংরেজির মানবৃদ্ধির এ উদ্যোগ পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার মানবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন নাহিদ।
ইংরেজি বলা ও শোনা স্কিলের মূল্যায়ন কেবল স্কুল ও মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, জেএসসি, এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস