ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা সফরে শিল্প শেখা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
শিক্ষা সফরে শিল্প শেখা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা আর্ট সামিট থেকে: শিল্পকে উপভোগ করতে কোনো বয়সী মানুষেরই মানা নেই। মানা নেই সেই শিল্পটি সম্পর্কে জানতেও।

শিল্পের অনেক বিষয় বড়দের জানা থাকলেও তা কিন্তু ছোটদের কাছে একেবারেই অজানা। সে সম্পর্কে ধারণা নিতেই বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছে। দেখছে বিভিন্ন শিল্প। জানছে নানা বিষয়। জানার পাশাপাশি শিখছেও অনেক কিছু।

বিষয়টি তাদের কাছে বোধগম্য করে তুলছেন ও ধারণা দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাযডমিতে চলা ঢাকা আর্ট সামিটের শেষ দিনে বিভিন্ন গ্যালারি ঘুরে এমনটাই দেখা গেল।

রাজধানীর বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থীদের লাইন ধরে প্রদর্শনীতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে আছেন তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কোনো শিক্ষার্থী যেন হারিয়ে না যায় বা দলছাড়া না হয়ে পড়ে সেজন্য হাতে হাত ধরে ঘুরছিল এক ফ্লোর থেকে আরেক ফ্লোর।

সবার হাতেই রয়েছে একটি করে ডায়েরি ও কলম। বিশেষ করে ছবির গ্যালারিতে গিয়ে তারা থেমে থেমে দেখছে প্রতিটি ছবি। তারপর সেই ছবি দেখে কি বুঝেছে, তা নোট করছে তাদের ডায়েরিতে। তবে এ কাজ তাদের নিজেই করতে হচ্ছে। কোনো কিছু জানার থাকলে তা বলে দিচ্ছেন স্যার-ম্যাডামরা।

তারা যে নোট করছে এবং তা ক্লাসে জমা দেবে তা আরও স্পষ্ট করে বোঝা গেল সানবিমস স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবাহ তাসনিমের ডায়েরি দেখে।

ডায়েরিতে সে লিখেছে- ইউ স মেনি পিকচারস। দেয়ার ওয়ার অল ব্লু  (তুমি অনেক ছবি দেখছো। সবগুলোই নীল রঙের)। অন্য শিশুদেরও ছবি দেখে তারা যা বুঝছে, তা ইংরেজিতে নোট করতে দেখা গেছে।

প্রথম দিন থেকে সকল শিক্ষার্থীর জন্য উম্মুক্ত করা হয় ঢাকা আর্ট সামিটের প্রতিটি গ্যালারি। প্রদর্শনীর শেষ দিনে শিক্ষার্থীদের ভিড় একটু বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রতিটি গ্যালারি ঘোরার সময় কোনো শিক্ষার্থী যেন ছবির ওপর হাত না দেয় তাও খেয়াল করছেন সঙ্গে থাকা স্কুলের শিক্ষকরা। কোন ছবি কোন প্রেক্ষাপটে আঁকা হয়েছে তাও ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

স্যার জন ইউলসটন স্কুলের  শিক্ষিকা নাজিহা তাবাস্‌সুম বাংলানিউজকে বলেন, তারা তো আর্ট ও শিল্প সম্পর্কে অনেক কিছুই জানেন না। ক্লাসের আর্ট ও এখানকার আর্টের মধ্যে অনেক পার্থক্য । সেই পার্থক্যগুলো কি কি সে সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে তারা।

ইউরোপিয়ান স্টান্ড্যার্ড স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবা তাসনিম বলে, ‘ম্যাডাম বলেছেন, যা দেখবা নোট করবা, তাতে মার্ক দেওয়া হবে। অনেক কিছু দেখেছি, খুবই ভালো লেগেছে’।

গুলশানের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে বিআইটি’র শিক্ষিকা মাহফুজা বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা সফর তো শেখার জন্যই। এ কারণে তাদের শিক্ষা সফর ঢাকার বাইরে না করে আজ এখানে নিয়ে আসা হলো। যাতে শিল্পের বিভিন্ন বিষয়  সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারে তারা’।

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা বলে, ‘অনেক কিছু দেখেছি। খুব ভালো লাগছে। তবে কিছু জিনিস যখন বুঝিনি, ম্যাডাম বুঝিয়ে দিয়েছেন’।

অলটারনেটিভ লার্নিং স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফি শাহেদ, শান্ত মিয়া, শাহেদুল ইসলাম ও মেহেদী এ প্রদর্শনীতে এসে ঘুরে দেখে তাদের খুব ভালো লাগছে বলে জানিয়েছে।

সানবিমস স্কুলের শিক্ষিকা সারাহ জাবিন বলেন, ‘তারা তো ক্লাসে অনেক শেখে। এর বাইরেও তো কিছু শেখার আছে। এ কারণেই হাতে-কলমে শেখানোর জন্য নিয়ে আসা’।

একই স্কুলের আরেক শিক্ষিকা আহমেদ রিনা আক্তারী বলেন, ‘তারা আর্ট সম্পর্কে শিখবে ও জানবে। এখান থেকে গিয়ে আরও  ভালো করার চেষ্টা করবে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
এমআইকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।