ঢাকা: সমন্বয়ের অভাবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের তথ্যে দেখা দিয়েছে গড়মিল। তিনদিনের পরীক্ষায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের তথ্যে অনুপস্থিতি ও বহিষ্কারের সংখ্যায় পার্থক্য দেখা যায়।
দুই জায়গা থেকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য সরবরাহের কারণে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশে এর প্রতিফলন ঘটছে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
বিষয়টি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের নজরে নিলে মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের দু’দিনের তথ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড ছাড়াও মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন।
প্রথম দিন আন্তঃশিক্ষাবোর্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যে বহিষ্কারের সংখ্যায় গড়মিল পাওয়া যায়। আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের তথ্যে এ দিন বহিষ্কার হয়েছে সাত শিক্ষার্থী। এছাড়াও দুই জন পরিদর্শকও বহিষ্কার হয়েছেন।
কিন্তু নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যে সাত শিক্ষার্থী বহিষ্কারের কথা জানা গেলেও একজন পরিদর্শক বহিস্কারের তথ্য পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় দিনের (০৩ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষায় অনুপস্থিতির তথ্যে গড়মিল ছিল। বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ছয় হাজার ৮৩১ জন।
কিন্তু নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যে অনুপস্থিতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয় ছয় হাজার ৮৬৬ জন।
তৃতীয় দিন (০৭ ফেব্রুয়ারি) অনুপস্থিত ও বহিষ্কারের সংখ্যায় পার্থক্য দেখা যায়। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যে অনুপস্থিত শিক্ষার্থী সাত হাজার ৩৩৪ জন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৪ জন।
আর আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ১৫৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। সাত হাজার ৪৭৯ জন পরীক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. এনামুল হক নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ইনচার্জ। ইনচার্জসহ চারজনের সই করা ওই তথ্য সংবাদের জন্য সরবরাহ করা হয়। তথ্যের গড়মিলের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি এনামুল হক।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের আনসার নামের একজন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বোর্ড থেকে তথ্য নিয়ে সরবরাহ করি, তথ্য গড়মিল হওয়ার কথা না। বিষয়টি তিনি ইনচার্জকে অবহিত করবেন বলেও জানান।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিকের সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তার সই করা তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়ে থাকে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বাংলানিউজকে বলেন, তিনি বিষয়টি দেখছেন।
এর পরপরই ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের শেষ দু’দিনের তথ্য সরিয়ে নেওয়া হয়।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সরবরাহ করা কপি ও আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের একদিনের কপি বাংলানিউজের হাতে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর