ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবি ও কুয়েটে সরস্বতী পূজা উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
খুবি ও কুয়েটে সরস্বতী পূজা উদযাপন ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

খুলনা: নানা আনুষ্ঠানিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা।

এ উপলক্ষে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় দু’টির ক্যাম্পাসে নেওয়া হয় নানা কর্মসূচি।



সকালে খুবি ক্যাম্পাসে নির্মিতব্য মন্দির প্রাঙ্গণে বাণী অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান ও বিশেষ অতিথি ‍হিসেবে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রত্যেক ধর্মেই জ্ঞান অর্জনের কথা বলা হয়েছে। এর কারণ, মানুষ যখন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়, তখন তার মধ্য থেকে কুসংস্কার দূরীভূত হয়।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মূখ্য আরাধ্য হওয়া উচিত আদর্শ মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে জ্ঞান সাধনা করা।

এর আগে, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্দির নির্মাণ কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধু। এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

তারও আগে, সকালে প্রতিমা বেদীতে অঞ্জলী প্রদান এবং পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিকেলে আয়োজন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

অন্যদিকে, কুয়েট অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে অস্থায়ী পূজা মন্ডপে সকালে শ্রী পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতবসনা, বাগ্দেবী সরস্বতী দেবীর শুভ আরাধনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন কমিটির সার্বিক আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা স্বতঃফূর্তভাবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, আইইএম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. তারাপদ ভৌমিক, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, ইউআরপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুষার কান্তি রায়, ড. এম এ রশীদ হলের প্রভোস্ট পিন্টু চন্দ্র শীল, লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, কুয়েট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ড. নরোত্তম কুমার রায়সহ বিভিন্ন বিভাগের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

শুভ আরাধনার পর কুয়েটে পুষ্পাঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়। এখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় রয়েছে আরতি ও সন্ধা সাড়ে ৬টায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
 
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববারও (১৪ ফেব্রুয়ারি) রয়েছে কর্মসূচি। সকাল ১০টায় প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যে দিয়ে কুয়েটের সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৬২৯ ঘণ্টা,ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমআরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।