জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. নজিবুর রহমানসহ ৯ শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর বিভিন্ন অভিযোগ তুলে স্মারকলিপি দিলে কিছুক্ষণ পরেই এ শিক্ষকরা হলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জানা যায়, স্মারকলিপিতে অধ্যাপক মু. নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অদক্ষতা ও অযোগ্যতার অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণ করে সৎ ও দক্ষ প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে ২৬ মার্চ পর্যন্ত উপাচার্যকে সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্য তাদের কথা আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর কিছুক্ষণ পরই হল প্রাধ্যক্ষসহ ৯ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রাধ্যক্ষ ছাড়া অন্য আট শিক্ষক হলেন- ওয়ার্ডেন এ এইচ এম সা’দৎ, মো. খোরশেদ আলম, আবাসিক শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, সহকারী আবাসিক শিক্ষক, মো. তাজউদ্দিন সিকদার, মো. মোজাম্মেল হোসেন, কাজী রাসেল উদ্দিন, সুব্রত বণিক।
পদত্যাগপত্রে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, ২১ মার্চ (সোমবার) গভীর রাতে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কতিপয় নেতার নেতৃত্বে ও উস্কানিতে হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও চরম অসম্মানজনক ভাষা প্রয়োগে একটি মিছিল বের করা হয়। ফলে একটি চরম ভীতিকর ও নিরাপত্তাহীন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এমন অবমাননাকর পরিস্থিতিতে আত্মমর্যাদা ও নিরাপত্তা বজায় রেখে হলে স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই বিধায় হল প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক পদত্যাগ করলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা বলেন, একযোগে পদত্যাগ করার নিয়ম না থাকায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তাদের আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
এইচএ