জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৪৪তম ব্যাচের প্রায় ২০ শিক্ষার্থীকে মারধর ও নির্যাতন করেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত আল-বেরুনী (সম্প্রসারিত ভবন) হলের হামিদুর রহমান স্মৃতি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের ভয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম দিকে মুখ খোলেনি। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জানতে পারে।
হলের শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে হল শাখা ছাত্রলীগের উপস্থিতি কম থাকায় সোমবার রাত ১২টার দিকে ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘গেস্টরুমে’ বসে ৪২তম ব্যাচের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
স্মৃতিসৌধে যেতে না পারায় ফার্মেসী বিভাগের আল-আমিনকে দাঁড় করিয়ে ‘অশ্লীল ভাষায় বক্তব্য’ উপস্থাপনের নির্দেশ দেয় হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।
‘বক্তব্যে বেয়াদবী’ রয়েছে উল্লেখ করে আল-আমিনকে হল শাখার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসিব, ছাত্রলীগ কর্মী পরিসংখ্যান বিভাগের সাইফুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও অ্যাকাউন্টিংয়ের সোহান তার সহপাঠীদের সামনে মারধর করেন ।
পরে প্রায় তিন বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৩৬ ব্যাচের হাসিনুর রহমান শামীম, ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও সহ-সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে ৪৪তম ব্যাচকে ‘বেয়াদব’ আখ্যা দিয়ে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে স্ট্যাম্প, লাঠি দিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল-আমিন বলেন, ‘বেয়াদব’ আখ্যা দিয়ে আমাদেরকে মারধর করেছে। তবে আমাকেই বেশি মারধর করেছে ভাইয়েরা। ’
শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বেয়াদবী করেছিল। তাই জুনিয়রা তাদেরকে একটু শাসন করেছে। ’ সহ-সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি অনেক আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। কাউকে মারধর করেনি।
হাসিনুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় হলে উপস্থিত ছিলাম। তবে কাউকে মারধর করিনি। এ বিষয়ে আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ এ কে এম জসীম উদ্দিনকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
বিএস