ঢাকা: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।
বৃত্তির ফল ঘোষণা উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান, এতোদিন ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হলেও এবার এই সংখ্যা ২৭ হাজার ৫০০ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮২ হাজার ৫শ’।
এতোদিন ২২ হাজার ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) এবং ৩৩ হাজার সাধারণ বৃত্তি পেলেও এবার ৩৩ হাজার জনকে ট্যালেন্টপুলে এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে।
বৃত্তি প্রাপ্তদের সংখ্যার পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও এবার থেকে বেড়েছে। আগে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও এবার থেকে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হবে।
বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তির টাকা পান। বৃত্তির সংখ্যা ও বর্ধিত অর্থ বিতরণে প্রাথমিকের বৃত্তি নীতিমালাও সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, সাধারণ কোটায় সাড়ে ৪৯ হাজার বৃত্তির মধ্যে মোট সাত হাজার ৯০৬টি ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ছয়টি (৩ জন ছাত্র. ৩ জন ছাত্রী) সাধারণ বৃত্তি হিসেবে ৪৭ হাজার ৪৩৬টি বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
বাকী দুই হাজার ৬৪টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা/থানা হতে আরও চারটি (২ জন ছাত্র, ২ জন ছাত্রী) করে মোট ৫০৯টি উপজেলা/থানায় দুই হাজার ৩৬টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২৮টি সাধারণ বৃত্তির জন্য আট বিভাগের ছাত্রী-ছাত্রীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ হতে তিনটি করে ২৪টি সাধারণ বৃত্তি প্রদানের পর অবশিষ্ট চারটি বৃত্তি বণ্টণ করা সম্ভব হয়নি।
ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ উপজেলা ভিত্তিক এই বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০১০ সাল থেকে সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চলতি বছরের প্রাথমিক সমাপনীর ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০ জন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রাথমিকে উপ-বৃত্তির সংখ্যা ৭৮ লাখ ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক কোটি ৩০ লাখ করা হয়েছে। এই বৃত্তির হার আগের মতই আছে তবে প্রাক-প্রাথমিকে উপ-বৃত্তি দেওয়া না হলেও এখন তারা ৫০ টাকা করে পাচ্ছেন। গ্রামীণ এলাকায় কোন স্কুল এই উপ-বৃত্তি থেকে বাদ পড়ছে না। আর উপ-বৃত্তি সবাই সমানভাবে প্রাপ্য হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন খালিদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আলমগীর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯,২০১৬/আপডেট ১৫২৫ ঘণ্টা
এমআইএইচ/বিএস