ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি ও নীল দলের সমর্থন

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি ও নীল দলের সমর্থন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: নতুন হল নির্মাণ এবং নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) স্থায়ীভাবে লিজ দেওয়ার দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং আওয়ামী লীগ ও বামপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।  

রোববার (২১ ‍আগস্ট) রাতে পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠন দু’টি এ সমর্থন জানায়।

তবে, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন যে কোনো আন্দোলন থেকে সরে আসতেও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে জবি শিক্ষক সমিতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এ জাতীয় আন্দোলন না করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি।

নীল দলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে নীল দল একমত পোষণ করে। কিন্তু বর্তমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে নীল দল।  

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রোববার ৩৮তম জরুরি একাডেমিক সভা ডাকে জবি প্রশাসন ও সিনিয়র শিক্ষকরা। বৈঠক শেষে হলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
 
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটিও গঠন করা হয় সভায়।

কলেজ থেকে ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি হল ছিল প্রভাবশালীদের দখলে।

বিভিন্ন সময়ে সেসব হল উদ্ধারের দাবি উঠলেও ২০০৯ সালে শিক্ষার্থীদের জোরালো আন্দোলনে সরকারের উচ্চ মহলের টনক নড়ে। ওই সময় একাধিক হল উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ করে। কিন্তু তা কার্যকর করেনি ঢাকা জেলা প্রশাসন।

এরপর ২০১১ ও ২০১৪ সালে আবারও জোরালো আন্দোলন হলে দু’টি হল পুনরুদ্ধার হয়। কিন্তু তা এখনও ব্যবহার উপযোগী করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবার আরেকটি হল আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা নিয়ে দেখা যায়নি কোনো পরিকল্পনা। দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ রয়েছে নতুন দু’টি হল নির্মাণের উদ্যোগেও।

এবার ২০ দিন ধরে নানা উপায়ে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন না হলেও গত দু’দিন ধরে ধর্মঘট পালনের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
এইচএ/

** প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা সোমবার
** হলের দাবিতে ধর্মঘটে অচল জবি‍
** রোববার পর্যন্ত আলটিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।