ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে স্নাতক পাস ধরে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর বলছে, নারীকে এগিয়ে নিয়ে এসে প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও মানসম্পন্ন করে তুলতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন খালিদের সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেডের পদমর্যাদা প্রদানের কারণেও এ বিষয়টির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য শুধু পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি পাস হতে হয়। আর নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি প্রয়োজন।
চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্তের পর বিদ্যমান ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ সংশোধন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে বিধি সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়’।
‘সংশোধনীতে প্রাথমিকের নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যোগ্যতা ধরা হয়েছে গ্রাজুয়েট। প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার কারণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’।
মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষকদের বদলে গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘নারীরা এখন পড়ালেখায় অনেক এগিয়েছেন’।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫ শতাংশের পদোন্নতি এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে ৩৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করার বিধান রয়েছে।
অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাওয়ায় সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) আপত্তি তুলছে। এজন্যও সবার ক্ষেত্রে গ্রাজুয়েট যোগ্যতা ধরা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশোধনীতে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অধিদফতরে পাঠিয়েছে।
নারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলেও বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান মহাপরিচালক মো. আলমগীর।
১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধিমালায় নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি পাস ধরা হলেও ২০১৩ সালে বিধিমালা সংশোধন করে এইচএসসি বা সমমানের ডিগ্রি ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর