ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঈদের ছুটিতে অরক্ষিত জবি ক্যাম্পাস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
ঈদের ছুটিতে অরক্ষিত জবি ক্যাম্পাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টানা ১৩ দিনের ছুটিতে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। কিন্তু ক্যাম্পাসের মূল ফটকের অর্ধেক অংশ না থাকায় কার্যত অরক্ষিত হয়ে থাকছে জবি ক্যাম্পাসটি।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জবিতে। আগস্টের শুরু থেকেই হলের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে।

এসময় প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেন। এ কারণে গত ২২ আগস্ট (সোমবার) সকালে হঠাৎ মূল ফটকের অর্ধেক অংশ মেরামত করার কথা বলে খুলে ফেলে প্রশাসন।

সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, ত্রুটি থাকার কারণেই খুলে ফেলা হয়েছে গেটের অর্ধাংশ। তা মিস্ত্রির কাছে পাঠানো হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আবারও গেটটি লাগানো হবে।

কিন্তু খুলে ফেলার প্রায় দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো লাগানো হয়নি মূল ফটকের অর্ধাংশটি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদের ছুটিতে ফাঁকা থাকবে পুরো ক্যাম্পাস। আগে যারা ক্যাম্পাসের ভেতরেই বসে মাদক সেবন করতো, এবার ক্যাম্পাসে প্রবেশের মূল ফটক না থাকায় তারা আরও বেশি বেপরোয়া হতে পারে। এছাড়া সার্বিক দিক বিবেচনায় অন্যান্য ক্ষতিরও আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে পুরো ক্যাম্পাস নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন মাত্র ২১ জন কর্মী। এরা ৮ ঘণ্টার শিফট তৈরি করে ডিউটি পালন করেন। কিন্তু ঈদে ছুটিতে যেতে পারেন তাদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন।  ফলে বাকি নিরাপত্তকর্মীদের জন্য পুরো ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন বেশ দুরূহ হবে বলে মনে করছেন তাদেরই দু’একজন।

যেমন নিরাপত্তা কর্মী খলিল বাংলানিউজকে বলেন, এমনিতেই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষা করতে হিমশিম খেতে হয়। এর মধ্যে মূল ফটক উন্মুক্ত থাকায় সব সময় সেখানেই বসে থাকতে হয়। জরুরি প্রয়োজনেও সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার উপায় থাকে না।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেজিস্টার দফতরের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় ক্যাম্পাসের মূল ফটক না থাকা কিংবা নিরাপত্তারক্ষী কম থাকা নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। যতো দ্রুত সম্ভব মূল ফটক লাগানো প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বিশববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, দু’একদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসের মূল ফটকের খুলে ফেলা অংশ লাগানো হবে। এর জন্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।