জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য দেড় কিলোমিটার দূরে একটি খেলার মাঠ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সে মাঠটিরও বেহাল দশা প্রশাসনের অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনায়।
এ অবস্থার কারণে ২০১৫ সালে বল গড়ায়নি জবির প্রধান এই মাঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে পাশের ইস্ট অ্যান্ড ক্লাবের খেলার মাঠে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সরেজমিনে জবির খেলার মাঠ (ধুপখোলা মাঠ) ঘুরে দেখা যায়, পুরো মাঠ জুড়ে ইটের টুকরা, কাদা, জমা পানি। ঈদুল আজহায় এই মাঠে বসেছিলো পশুর হাট- সে সময় সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো তেমনই রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বছরে একটি বা দুটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেই প্রশাসন দায় এড়ানোর চেষ্টা করে। বাকি সময় অরক্ষিত থাকে মাঠটি।
আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে জবির আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা, কিন্তু এখনো খেলার উপযোগী হয়নি খেলার মাঠ।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিব ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই এ ধরনের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না। আমাদের চর্চা করতে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে।
একই অভিযোগ জানান অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে জবি ছাত্র কল্যাণ-এর পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমদ দাবি জানান, প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে খেলতে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী যেনো আহত না হয়।
শরীরচর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, মাঠে বেশ সমস্যা রয়েছে। আমরা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে মাঠ পরিষ্কার ও খেলার উপযোগী করার চেষ্টা করছি।
মাঠে অনেক ইটের টুকরা ছিলো, এছাড়া পশুর হাট বসায় মাঠের অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। এক থেকে দেড় ফুট মাটি তুলে অন্য জায়গায় ফেলে আবার দুই থেকে তিন ফুট মাটি ফেলতে হবে। তবে আগামী ২৪ তারিখের আগেই আমরা মাঠ খেলার উপযোগী করতে পারবো বলে আশা করছি, যোগ করেন তিনি।
এদিকে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকীর ফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৬
ডিআর/এটি