ঢাকা: ১৫৮ বছরের ইতিহাস ও গৌরব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘১১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
দিবসটিকে সামনে রেখে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে জবিতে।
কখনও উন্নয়ন আবার কখনও অবমননের মধ্য দিয়ে পার করা শত বছরের পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাসের পর ওই বছরের ২০ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে সরকার।
সেই থেকে ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করছে জবির শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দিবসটি পালনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে স্টেজ তৈরিসহ সব ধরনের কাজই প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ দিনটিকে ঘিরে নতুনভাবে সজ্জিত হচ্ছে দেশের অন্যতম পুরনো এই বিদ্যাপীঠ।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, জবির মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, ভাষা শহীদ রফিক ভবন (পুরাতন বিজনেস স্টাডিজ ভবন), বিজ্ঞান অনুষদের ভবন ছাড়াও প্রশাসনিক ভবনের সামনের শহীদ মিনারসহ সবখানেই আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যা শুরু হতেই আলোর ঝিলিমিলি সাজে সেজে ওঠছে জবি।
এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের সামনেই তৈরি করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ। মঞ্চের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
দিবসটি ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। এই প্রথমবার জবিতে আসছেন নগরবাউল জেমস ও শিরোনামহীন। তাই সবাই সময় গুণছেন কখন শুনবেন প্রিয় শিল্পী জেমসের কণ্ঠে, ‘দুষ্ট ছেলের দল’ কিংবা শিরোনামহীনের ‘তুমি চেয়ে আছো তাই... আমি একা হেঁটে যাই’।
জবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জবি এবার এক যুগে পদার্পণ করছে এবং আমি আশা করি আগামী দিনগুলোতেও আমাদের প্রাণপ্রিয় জবি সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। এই দিবসটিকে ঘিরে আমরা দিনভর আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা হবো।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হবে। উপাচার্যে নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সমাপ্ত হবে।
এরপর সংগীত বিভাগের উদ্যোগে সকাল ১১টায় সংগীতানুষ্ঠান, বেলা ১২টায় আলোচনা সভা এবং দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নাট্যকলা বিভাগের দ্বিতীয় আবর্তন শিক্ষার্থীদের নাট্য প্রযোজনায় শান্তিরঞ্জন দে রচিত ‘গঙ্গা থেকে বুড়িগঙ্গা’ যাত্রাপালা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে কনসার্ট।
‘১১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে তবে ছোট ক্যাম্পাসে এতো বড় আয়োজন হচ্ছে এখানে মানুষের জায়গা দেওয়া নিয়ে আমরা বেশ চিন্তিত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র আমাদের ছাত্র ও অবিভাবকদের ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
ডিআর/ওএইচ/এমজেএফ