ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিল্পকর্ম ফেলা কোনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
শিল্পকর্ম ফেলা কোনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না শিল্পকর্ম ফেলা কোনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না-ছবি: বাংলানিউজ

রাবি (রাজশাহী): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম ফেলে প্রতিবাদ করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও নাট্যব্যক্তিত্ব মলয় কুমার ভৌমিক। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা কখনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না। আন্দোলনের নামে শিল্পকর্মের অবমাননা করা হয়েছে। তারা অন্যভাবেও দাবি জানাতে পারতো। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক কাজ হয়েছে।

চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকজন ছাত্র এটা করেছে। তাদের মধ্যে সামান্য অসন্তোষ ছিল।

তেমন কিছু করেনি, এলোমেলো করে রেখেছে। সবাই তো একরকম হয় না। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদের দাবি শুনেছি। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ চত্বরে শিল্পকর্মের নিরাপত্তায় প্রাচীর নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে নিজেদের শিল্পকর্ম ফেলে রাখেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের তৈরি করা আবক্ষ শিল্পকর্মসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম এলোমেলো করে ফেলে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা বলছেন তাদের শিল্পকর্মগুলোর নিরাপত্তায় প্রাচীর নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা এ কাজ করেছেন। অন্যদিকে অনেক শিক্ষার্থী বলেছেন, এভাবে আন্দোলনের নামে রাতের অন্ধকারে শিল্পকর্ম ফেলে রাখার মাধ্যমে শিল্পের অবমাননা করা হয়েছে।

মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী স্বাধীন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের শিল্পকর্মগুলোর নিরাপত্তার জন্য প্রাচীর নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো সে দাবি পূরণ হয়নি। তাই এর প্রতিবাদে আমরা শিল্পকর্ম উল্টে রেখেছি। শিল্পকর্ম ফেলা কোনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না-ছবি: বাংলানিউজরাতের অন্ধকারে কেন এটা করা হলো জানতে চাইলে আরেক শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন রনি বলেন, দিনের বেলায় এসব করলে স্যাররা বাধা দিতেন, তাই আমরা রাতে করেছি। আমরা ৩০-৪০ জন ছিলাম। আমরা আমাদের শিল্পকর্মের নিরাপত্তা চাই।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জয় বলেন, আমরা নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবির সঙ্গে একমত। কিন্তু সেজন্য এভাবে শিল্পকর্মের অবমাননা করা উচিত হয়নি। এর সঙ্গে সবাই একমত না। কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদের সিদ্ধান্তে এসব করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।